২৫ মার্চ শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোর মিছিল

 এম.এ আজিজ রাসেল •


একাত্তরের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণে ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোর মিছিলসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ২৫ মার্চের ভয়াবহতা স্মরণ করেন সর্বস্তরের মানুষ। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কর্মসূচী পালন করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব শ্রাবস্তী রায়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নুরুল আবছারসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সকালে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া সন্ধ্যায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোর মিছিল এবং গোলদিঘির পাড় চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শণী করে জেলা আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. রনজিত দাশ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, ইউনুছ বাঙালি, এটিএম জিয়া, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এম,এ মনজুর, বদরুল হাসান মিলকি, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সাধারণ উজ্জ্বল কর, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা যুবলীগ নেতা ডালিম বড়–য়া, কুতুব উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জেলা প্রশাসনের কর্মসূচীতে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন—সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তাঁর জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা নিজস্ব দেশ, ভাষা—সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি। শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি—রাষ্ট্রের স্রষ্টা। কাজেই তাঁর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি।

জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ‘সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার। তার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআর—এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে। বীর বাঙালি তার নির্দেশে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। ’

আরও খবর