কক্সবাজারে এতিমখানায় শিশু ছাত্রী ধর্ষিত: ধর্ষক গ্রেফতার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন •

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কক্সবাজার আর্দশ মহিলা কামিল ( অনার্স মাস্টার্স) মাদ্রাসার আভ্যন্তরিন ছৈয়দিয়া বালিকা এতিমখানা ও কারিগরি ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ৫দিন পর ২১ মার্চ রাতে ধর্ষিতা এতিম শিশুকে উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত ধর্ষক ওই এতিমখানার দারোয়ান মহি উদ্দীনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

ধর্ষকের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়।

বাবা মা হারা এতিম শিশুটি নানীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং গত বছর ওই এতিমখানার শিশু শ্রেণীতে ভর্তি করেন। এতিখানার হোস্টেলেই থাকতেন শিশুটি। এবছর ওই শিশু দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়।

গত ১৬ মার্চ রাতে দারোয়ান মহিউদ্দীনের হাতে ধর্ষিত হন ওই শিশু। পরে রক্তাক্ত ওই শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা করান এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এতিমখানা সুপার মৌলানা আমির ও হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক আয়েশা সিদ্দিকা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মনিরুল গীয়াস বলেন, জড়িত দারোয়ান মহিউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত আরো কেউ থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি।

এঘটনায় ধর্ষিত এতিম শিশুর নানী বাদী হয়ে ধর্ষক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে পুলিশ।

এদিকে, দারোয়ান মহিউদ্দীনের পরিবার দাবী করেন, ঘটনাটিতে তাকে অন্যায় ভাবে ফাঁসিয়েছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। এঘটনায় তিনি কোন মতে জড়িত নয়। যেই সময় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করা হয়, সেইদিন থেকে নিয়মিত চাকুরীতে রতছিলেন।

এতিমখানা কতৃপক্ষ ইতোপূর্বেও তাকে (মহি উদ্দীন) চাকুরী থেকে বহিষ্কার করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল।

স্পর্শকাতর বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবী করেন মহি উদ্দীনের পরিবার।

আরও খবর