ঢাকা মেডিক্যালের করোনা ডেডিকেটেড নতুন ভবনের আইসিইউ ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে উপ-পরিচালক আলাউন্দিন আল আজাদ বলেছেন, আগুনে পুড়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
তিনি বলেন, আইসিইউতে থাকা রোগীদের স্থানান্তরের সময় ওই তিন রোগীর মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লাগানো ছিল। আগুন লাগার পর রোগীদের যন্ত্রপাতি খুলে স্থানান্তর করায় এবং সব জায়গায় ওইসব যন্ত্রপাতির সাপোর্ট না থাকায় রোগীদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাজমুল হক বলেন, রোগীদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঢামেক করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ১৪ জন রোগী ছিলেন, বাকিদের অবস্থা ভালো। আগুনে পুড়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। স্থানান্তরের সময় কারও অক্সিজেন বন্ধ করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানান্তরের সময় মৃত তিন রোগীর মধ্যে রয়েছেন রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসিন্দা কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৩), পিতা কাজী বেলায়েত হোসেন। গত ১২ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি আইসিইউর ৯ নম্বর বেডে ছিলেন। মানিকগঞ্জ সদর থেকে আসা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮), পিতা আব্দুস সাত্তার মিয়া। গত ৪ মার্চ থেকে ভর্তি ছিলেন আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা কিশোর চন্দ্র রায় (৬৮), পিতা বাদিরা লাল রায়। তিনি ৯ মার্চ ভর্তি হন। আইসিইউ’র ৮ নম্বর বেডে ছিলেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৮ টা ১০ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের চার তলার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন রোগীকেকে আইসিইউ থেকে আমরা বের করে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাই। তবে তাদের অবস্থা তখন সংকটপন্ন ছিল। আগুন সম্পূর্ণভাবে ৯ টা ৩০ মিনিটে নেভানো হয়েছে।’
তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তিনি তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি।
-বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-