রফিক উদ্দিন বাবুল •
উখিয়ার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। মুদির দোকান থেকে শুরু করে তরিতরকারির বাজারে সর্বত্রই সিলিন্ডার মজুত ও বিক্রি চলছে। এসব দোকানের অধিকাংশেরই নেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির লাইসেন্স। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে কুতুপালং বাজার, টিএন্ডটি, বালুখালী পান বাজার, থাইংখালী, পালংখালীসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে দেদারছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। উখিয়া উত্তর স্টেশনে সিলিন্ডার বিক্রয়কারক রাজীব দাশ অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুতকল্পে পরিবেশ অধিদপ্তর, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ জেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার বিধি বিধান থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত ট্রেড লাইন্সেসের অনুবলে বাণিজ্যিকভাবে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
অনুমোদিত গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কারী নুর মোহাম্মদ জানায়, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ হিসেবে বিতরণের পণ্য সিলিন্ডার এখন তরিতরকারি ও মুদির দোকানে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অধিকতর কম দামে বিক্রি হওয়ায় সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মনীতি উপেক্ষা করা হচ্ছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা এমদাদুল হক মিলন জানায়, ২০০৩ সালের অগ্নিনির্বাপক আইনের বিধি অনুযায়ী যে পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেসব শর্ত অনুযায়ী লাইন্সেস দেওয়া হয়ে থাকে। এর বাইরে যারা খোলা বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে তা প্রতিরোধে ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিমুল এহসান খান বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রটোকল সামলাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিকারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-