কক্সবাজারে মাস্ক পরাতে আবারও প্রশাসনের অভিযান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক •

দেশে করোনার সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ায় সরকারিভাবে আবারও কক্সবাজার জেলাজুড়ে মাস্ক পরার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে আবারও জোরদার হচ্ছে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কার্যক্রম। সোমবার থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং শুরু করা হয়েছে। এরপরও মাস্ক ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে গুণতে হবে জরিমানা।

সোমবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্ট সহ কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালায় জেলা প্রশাসন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভা থেকেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা বলেন, আজ কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হয়েছে। তবে প্রথম দিন হিসেবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করলে জরিমানা করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ হার এবং মৃত্যুর হার গত কয়েক মাসের তুলনায় হঠাৎ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সংক্রমণের হার রোধকল্পে সর্বক্ষেত্রে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।কক্সবাজার যেহেতু পর্যটন জেলা এবং সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই এখানে জনসাধারণের আগমন ঘটে, এজন্য এখানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বিষয়টি অন্যান্য জেলার তুলনায় অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণ হার যেন বৃদ্ধি পেতে না পারে কিংবা কেউ যেন করোনার কারণে স্বজনহারা না হয়, এজন্য জেলাবাসীকে ঘরের বাইরে সর্বত্র অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনে বিনীত অনুরোধ করছি।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘জেলাবাসীর সাথে সাথে জেলায় আগত পর্যটকদেরও বিনীত অনুরোধ থাকবে সমুদ্র সৈকতসহ সর্বত্র যেন তারা মাস্ক পরিধান করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা মেনে চলেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের অনুরোধ করছি।স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।’

আরও খবর