ডেস্ক রিপোর্ট •
ইয়াবার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ক্ষতিকর বলে এর নাম ‘ক্রিস্টাল মেথ’। মিথাইলের সঙ্গে শতভাগ অ্যামফিটামিন থাকায় এই মাদক মারাত্বক ভয়ংকর। ইয়াবা মাদকের প্রবেশদ্বার খ্যাত কক্সবাজারের টেকনাফ দিয়ে আসছে আইস। প্রায় তিন বছর ধরে চলে আসা মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের মধ্যেই দেশে ঢুকে পড়েছে এই সর্বনাশা মাদকদ্রব্য। এক কেজি আইসের দাম অনুমানিক ছয় কোটি টাকা।
ইয়াবা চোরাচালানের অন্য রুট মিয়ানমার সীমান্ত সংলঘ্ন পাহাড়ী জনপদ উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়েও আসছে আইস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই মাদকদ্রব্য পাচার করে দেশে আনছেন কক্সবাজার-টেকনাফের ইয়াবা কারবারিরা।
গত ৩ মার্চ রাতে জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকা থেকে দুই কেজি আইসসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ ছাড়া গত দেড় বছরে ঢাকায় ছোট আকারের আরো চারটি চালান জব্দ করেছে ডিএনসি ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এসব ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে ইয়াবার রুট হয়ে আইস দেশে ঢুকছে। গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুন হওয়ার দিনই নোয়াখালীপাড়া এলাকায় একটি নৌকা থেকে আইস সন্দেহে একটি বস্তা আটক করে পুলিশ, কিন্তু চালানটি জব্দ দেখানো হয়নি।
তদন্তকারী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে দেশে আইসের বড় বাজার না থাকায় বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে এটি মূলত অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আমেরিকায় পাচার করাই কারবারিদের প্রথম লক্ষ্য। যদিও মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির চেষ্টা করছে পাচারকারী ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্র। তাই আফিম, হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবার পরে দেশে আইস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থেকে এই মাদকদ্রব্যের ছোট চালান এবং সেটা তৈরির প্রযুক্তি আনা হচ্ছে।
রাজধানীর কিছু বিত্তশালী মাদকসেবী এরই মধ্যে আইস গ্রহণ শুরু করেছে, যা আনা হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গোপন অনলাইন যোগাযোগের (ডার্কনেট) মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে। মিয়ানমার থেকে বড় চালান বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা চালানের মূল হোতাদের এখনো ধরা যায়নি।
জানতে চাইলে ডিএনসির মহাপরিচালক (ডিজি) আহসানুল জব্বার মোহাম্মদ বলেন, ‘টেকনাফে আমরা এ যাবৎকালের যে বড় চালানটি জব্দ করেছি সেই আইসগুলো থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এটির গন্তব্য বাংলাদেশের কোথায় ছিল বা এটিকে কিভাবে তারা (কারবারিরা) ব্যবহার করত, তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি মিয়ানমারকে কিভাবে অবহিত করা যায়, সেটা আমরা দেখছি।’
তিনি আরো বলেন, চক্রটিকে ধরার জন্য তাঁদের টিমের সদস্যরা প্রায় ছয় মাস ধরে কাজ করেন। এক পর্যায়ে চালান জব্দ করা হয়, কিন্তু জড়িত মূল ব্যক্তিকে ধরা যায়নি।
মিয়ানমার থেকে আসছে তিন রুটে
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউএনওডিসির ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, লাওস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারে ইয়াবার মতো মাদকদ্রব্যের চোরাকারবার নতুন নয়।
মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও পাচারের রুট গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলভুক্ত দেশ মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওস থেকে অন্য দেশে পাঠাতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর ভারতে ধরা পড়া একটি চালান বাংলাদেশ থেকে গেছে বলে সন্দেহ করা হয়। ধারণা করা হয় যে ওই চালানের গন্তব্য ছিল অস্ট্রেলিয়া।
থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং পাশের চীন থেকে ইয়াবার উপাদান সিউড্রোএফিড্রিন বা অ্যামফিটামিন মিয়ানমারে আসে। একই রুটে মিথাইল অ্যামফিটামিন বা আইসের উপাদানও পাচার করা হচ্ছে। মাদক হিসেবে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমারে আইসের ব্যবহার আছে।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মিয়ানমারের সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোল (সিসিডিএসি) এবং বাংলাদেশের ডিএনসির চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমারে অ্যামফিটামিন প্রবেশের কথা স্বীকার করা হয়। গত বছর মিয়ানমারের শান ও রাখাইন প্রদেশে অভিযান চালিয়ে ৩১ কোটি পিস ইয়াবা জব্দ করে মিয়ানমার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর টেকনাফে সন্দেহজনক আইস আটক হয়েছে—এমন একটি খবরের সূত্র ধরে ডিএনসির টেকনাফ বিশেষ সার্কেল নজরদারি শুরু করে। ছয় মাস আগে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের নোয়াখালী পাড়ায় এক মাদকসেবী ‘মিছরি’ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত নতুন মাদক সেবন করে মারা গেছে বলে তথ্য পায় ডিএনসি।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি করে ছয় মাসের চেষ্টায় ডিএনসি দুই কেজি আইসের নাগাল পায়। গত ৩ মার্চ হ্নীলার জাদিমুড়ার গোলাম নবীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহকে এই আইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়। নবীর আরেক ছেলে আব্দুর রহমান মিয়ানমার থেকে নৌপথে চালানটি এনে তিন দিন বাড়িতে রেখেছিলেন।
বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের কয়েকজনকে দেখানোও হয়। পলাতক আব্দুর রহমান চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি, যাঁর বিরুদ্ধে ইয়াবার চোরাচালানের মামলাও আছে। ইয়াবার চোরাকারবারিচক্রের মাধ্যমেই তিনি আইসের চালান পেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি যাদের কাছে বিক্রি করেন এবং তাঁর অন্য সহযোগীদের ব্যাপারে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
নজরদারির মাধ্যমে ডিএনসি জানতে পারে, মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে ওই মেরিন ড্রাইভের নোয়াখালীপাড়া, হ্নীলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি-সমতল এলাকা দিয়ে ইয়াবার মতোই আইসের চালান ঢুকছে। এ পাশে পাহাড়ে আত্মগোপনে থাকা রোহিঙ্গা দস্যুরা এ চোরাকারবারের নিয়ন্ত্রক। আর অন্য পাশে রয়েছেন মিয়ানমারের কারবারিরা।
জনতে চাইলে ডিএনসির টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আইসের কারবারিদের ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। আব্দুল্লাহকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে পেলে জানার চেষ্টা করা হবে।
সেই ‘বস্তা ভরা আইস’ গেল কোথায়?
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত বছরের ৩১ জুলাই যেদিন বাহারছড়ার শ্যামলাপুর চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যা করা হয়, সেদিন নোয়াখালীপাড়া সৈকতে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে একটি বস্তা আটক করে নিয়ে যান টেকনাফ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম। সঙ্গে তিনি মোহাম্মদ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যান। ওই বস্তায় ১০টি কার্টন ছিল। বস্তাটির ওজন ছিল ১৩ কেজি। পরবর্তী সময়ে এই মোহাম্মদ হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বাহারছড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ বলেন, অনেক মানুষের উপস্থিতিতে বস্তাটি খোলার পর তাতে আচারের মতো প্যাকেটে সাদা গুঁড়া দেখা যায়। তখন কেউ কেউ এগুলোকে আইস বলেছিল।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, জব্দ না দেখিয়ে আইসগুলো গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়। তিনি নথিপত্র দেখে মঙ্গলবার বলেন, ‘ওই সময় মাদকদ্রব্য আটকের কোনো মামলা বা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়নি। কিছু জব্দও দেখানো হয়নি। আমি যোগদানের পর এমন একটি বিষয় লোকমুখে শুনেছি, তবে থানায় কোনো কিছু না থাকায় তা আমার আর জানার সুযোগ নেই।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘এদিক দিয়ে আইস যাচ্ছে, এমন কথা শোনা যায়। আমাদের নজরদারিতে এখনো ধরা পড়েনি।’
টেকনাফ থানায় গত বছর নিজাম নামের দুজন এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর গণবদলির সময় তাঁরাও বদলি হয়ে যান। তাঁদের যেসব মোবাইল ফোন নম্বর হাতে এসেছে, সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিজাম কোথায় আছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব কিছু জানা যায় কি না।’
সন্দেহজনক আইস আটকের ঘটনার দিন নোয়াখালীপাড়ার বাসিন্দা ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাসের বারবার ফোনালাপ হয়, যা সিনহা হত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসে। তখন ইলিয়াস কোবরা কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘যে লোক (হোসেন) সন্দেহজনক আইসের খবর থানাকে জানিয়েছিল, তাকেই ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তাকে ছাড়াতেই আমি বারবার ফোন দিই, কিন্তু অনেকে অন্য কিছু সন্দেহ করছে।’
বাহারছড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কোবরা মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওই বিষয় নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না।’
দেশে আইস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জিগাতলার ৭/এ রোডের ৬২ নম্বর বাড়িতে হাসিব মুয়াম্মার রশিদ নামের এক যুবকের ল্যাবের সন্ধান পায় ডিএনসি।
তদন্তে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে আইসের ব্যবহার দেখে দেশে কারবার শুরু করেন হাসিব। প্রযুক্তি ও উপাদান আনেন মালয়েশিয়া থেকেই।
গোপন অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে আইসের কারবার চলছে বলে তখন জানিয়েছিলেন হাসিব। তবে হাসিবের এই আইস কারবারের সঙ্গে দেশে ও দেশের বাইরে আর কারা জড়িত, তা জানা যায়নি। ওই বছরের ২৭ জুন ভাটারা থেকে আজাহ আনাইওচুকোয়া ওনিয়েনসি নামের এক নাইজেরিয়ানকে ৫২২ গ্রাম আইসসহ গ্রেপ্তার করে ডিএনসি।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ কিছু দেশে ভ্রমণ করে তিনি আইস সম্পর্কে তথ্য পান। কুরিয়ারের মাধ্যমে উগান্ডা থেকে ওনিয়েনসি আইসের চালান আনেন এবং বাংলাদেশে বিক্রির চেষ্টা করেন।
গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিবি সদস্যরা ৬০০ গ্রাম আইসসহ ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন। আটক করা চক্রটির প্রধান সোনা ব্যবসায়ী চন্দন রায় জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় থাকা তাঁর আত্মীয় শংকর বিশ্বাসের কাছ থেকে তিনি তিনবার বিমানে করে আইসের চালান নিয়ে এসেছেন। দাম বেশি হওয়ায় আইস এখনো বিত্তশালী কিছু মাদকসেবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই মাদকের পেছনে কয়েকজন মাসে দু-তিন লাখ টাকা খরচ করছে। আইসের বাজার তৈরির চেষ্টা করছে বলেও জানান চন্দন।
জানা গেছে, এক কেজি আইসের দাম অনুমানিক ছয় কোটি টাকা।
গত ১৪ জানুয়ারি হাতিরপুল ও হাতিরঝিল থেকে ডিবি সদস্যরা আইসসহ আরো চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেন।
ডিবির রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘চন্দনের সঙ্গে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা শুধু আইস বিক্রেতা নয়, সেবকও। তারা যেমন নিজেরা কেনে, তেমনি বন্ধুদের কাছে বিক্রিও করে। যে কয়বার এই চালান এসেছে, তারাই কিনেছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসির এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর গুলশান, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন কয়েকজন জানিয়েছে যে তারা ইয়াবার পর আইস সেবন শুরু করেছিল। ধনী পরিবারের এই সন্তানরা গোপন অনলাইনে যোগাযোগ করে কুরিয়ারে আইস আনত। এর বেশির ভাগই আসত বিদেশ থেকে। দু-একজন দেশে পরিচিতজনের মাধ্যমে পেয়েছে বলে জানায়।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, নতুন মাদক প্রশাসনের লোকজন চেনেন কম এবং সাধারণ মানুষও চেনে না—এই সুযোগ নিচ্ছেন কারবারিরা। এ ছাড়া একই ধরনের মাদকদ্রব্যের মধ্যে মাদকতা যেটার বেশি সেটা গ্রহণের প্রবণতা আছে। নতুন নতুন মাদকদ্রব্য গ্রহণের প্রবণতাও বিশ্বব্যাপী দেখা যায়। এ কারণে দেশে আইস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাচার হলে এই ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-