শেষ পর্যন্ত দেখবেন বদিকে বাবা দাবি করা যুবক

মুহিবুল্লাহ মুহিব •

কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে মামলা করেছিলেন মোহাম্মদ ইসহাক (২৬) নামে এক যুবক। ওই মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সহকারী জজ আদালত টেকনাফের বিচারক মো. জিয়াউল হক।

কিন্তু এবারও সমন পাননি বলে দাবি করে আদালতে হাজির হননি বদি। তবে ইমেইলে সমন পাঠানোর আবেদন করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন।

আদালত চত্বরে তিনি বলেন, নানাভাবে সমন পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পত্রিকাসহ সর্বশেষ জারিকারক নিজে গিয়ে তার বাসার সামনে সমন টাঙিয়ে দিয়েছে। তারপরও তিনি সমন পাননি অজুহাতে আদালতে হাজির হননি। এ ঘটনার পর ইমেইলে পাঠানোর আবেদন করেছি, তারপরও না পেলে বাকি সিদ্ধান্ত আদালত নেবেন।

আদালত চত্বরে মামলার বাদী মো. ইসহাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন মাস ধরে আমাকে আদালতে ঘুরাচ্ছেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় বলে এমনটা করছেন। প্রকাশ্যে থেকেও সময় ক্ষেপণের চেষ্টা করছেন। খবর পাচ্ছি আমাকে হত্যার পরিকল্পনাও চলছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যাবে। যতই বাধা আসুক না কেন এর শেষ দেখে যাব ইনশাল্লাহ।

এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বদিকে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। সেই সময়ও সমন পাননি বলে হাজির হননি তিনি। তারপর পুনরায় ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ ইসহাক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে টেকনাফের সহকারী জজ মো. জিয়াউল হকের আদালতে মামলা করেন। প্রয়োজনে তিনি ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি জানান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করেন।

মামলার বাদী মোহাম্মদ ইসহাক (২৭) এজাহারে তার বাবার নাম লিখেছেন আব্দুর রহমান বদি। তাকে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসহাক তার এজাহারে বলেছেন, বদিদের এক সময়ের পারিবারিক মিস্ত্রি মোহাম্মদ ইসলামের সংসারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন। মোহাম্মদ ইসলামের সঙ্গে বাদীর মা সুফিয়া খাতুনের ‘দ্বিতীয়’ বিয়ে হয়। বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন দক্ষিণ মুহুরীপাড়ায় বসবাস করার কথা আর্জিতে জানান ইসহাক।

বিবাদী আব্দুর রহমান বদি টেকনাফ পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়ার এজাহার মিয়া ওরফে এজাহার কোম্পানীর ছেলে। তিনি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। একই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য তার স্ত্রী শাহীন আকতার চৌধুরী।

মামলায় দুই নম্বর মূল বিবাদী করা হয়েছে বদির চাচা পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলামকে। জন্ম সনদে বদির নামের পরিবর্তে মোহাম্মদ ইসলামের (সুফিয়ার স্বামী) নাম বসানোর কারণে তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান, একই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও খবর