সংবাদদাতা •
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ক্লাসপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজকে অপহরনের পর অবশেষে রাজধানী ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজ নিজ দোকানের মালামাল ক্রয়ের পর মরিচ্যা বাজার থেকে রুমঁখা বটতলীস্থ দোকানে আসার জন্য খালি সিএনজিতে উঠলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাস্ক পরা দুই ব্যক্তি সিএনজিতে উঠা মাত্র মেডিসিন স্প্রে প্রয়োগ করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ করে ফেলা হয়। সারাদিন দোকান বন্ধ থাকায় আবদুল আজিজের পরিবারের সন্দেহ হলে পরিচিত সব জায়গায় ও আত্নীয়-স্বজনদের কাছে খোজ নিতে থাকে।
কিন্তু তার খোঁজ না পেয়ে রাত ৮টার দিকে কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে উখিয়া থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়রী করেন। পরে রাত আরো গভীর হওয়ার পরও আবদুল আজিজের কোন সন্ধান না পেলে পরিবারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব-১৫ ও বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিষয়টা জানানো হয়।
এদিকে সারারাত অপেক্ষার পরও কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজের কোন খবর না পাওয়ায় শংকা বাড়তে থাকে। ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে অজ্ঞান থেকে হুশ হওয়া মাত্র আবদুল আজিজের মোবাইল ফোন চালু হওয়া মাত্র কল করলে সে নিজেকে একটা অন্ধকার জায়গায় আবিস্কার করেন এবং যেখানে চারপাশে কয়েকটা ফ্লাইওভার এবং সাইনবোর্ড দেখে নিশ্চিত হন সেটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বাসস্টান্ড। পরে পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ কল করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্দেশনায় আবদুল আজিজকে একটি মসজিদে নিরাপদ স্থানে যেতে নির্দেশ দেন। তারপর পরিবারের সদস্যরা গিয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা পর তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত অপহরণকারীরা হত্যার উদ্দ্যেশে কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজকে মরিচ্যা বাজার থেকে অপহরণ করার পর কোন নির্জন জায়গায় অজ্ঞান করে রেখে ওইদিন সন্ধার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকাগামী কোন বাসে তুলে দেন। এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পৌছলে অজ্ঞাত কোন কারণে থাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেন।
অপহরনের ব্যাপারে অতি শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-