নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজােরর সীমান্ত জনপদ উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। করোনা মহামারি আর সিনহা হত্যাকে কেন্দ্র করে সীমান্তের উপজেলা সমূহে ইয়াবার আগ্রাসন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। ইয়াবা ব্যবসায়িরা আত্মগোপনে চলে যায়।
কিন্তু গত মাস পাঁচেক আগে পুলিশ প্রশাসনের একসেটিয়া লোক অন্য বিভাগে বদলিজনিত কারনে ইয়াবা ব্যবসায়িদের ধরপাকড়ের শঙ্কা কেটে যায়। ফলে আত্মগোপনে থাকা চোরা চালানীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠে।
সম্প্রতি র্যাব পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সোপর্দকৃত শীর্ষ কারবারিদের ৩ ডজনখানেক ব্যবসায়ি জামিনে মুক্তির ঘটনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইয়াবা ব্যবসায়িদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দেয় বলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা ওইসব ইয়াবা কারবারিদের বড় একটি অংশ উখিয়া উপজেলার বালুখালী, কুতুপালং ও থাইনখালী, রাজাপালংয়ের ডিগলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিচরন করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শি লোকজন জানিয়েছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের শীর্ষ তালিকার দু”দফায় ১২৩ জনের মধ্যে ৭৩জন আত্মসমর্পণ করলেও অবশিষ্ট ৪০ জনের শীর্ষ চোরা চালানীরা আত্মসমর্পণ করেনি।
সীমান্তের নাফনদ এলাকা উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন জানান, নাফনদীর এপারে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার নজরদারি বাড়ানোর মাধ্যমে ইয়াবা আগ্রাসন কিছুটা রোধ করা যেতে পারে।
সচেতন মহল মনে করেন শীর্ষ কারবারিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলার মাধ্যমে তাঁদের সম্পদের হিসেব নিকাশ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জরুরী হয়ে পড়েছে। বছরে মাথায় কোটি কোটি টাকার জমিজমা ক্রয় এবং বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে।
গত বছর মেরিন ড্রাইভে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুন হওয়ার পর থেকে পুলিশের অভিযানে ভাটা পড়েছে মর্মে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। ইয়াবা ব্যবসায়িরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ সন্জুর মুরশেদ বলেন, সীমান্তের উখিয়ায় ইয়াবা চোরাচালানীদের খুজছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত জিরো ট্রলারেন্স অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-