শাহেদ মিজান •
কক্সবাজারের আলোচিত পিবিআই জমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইদ্রিস সিআইপি ও এড. নূরুল হককে গ্রেফতার করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (২মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ছড়া এলাকা দুদকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তাদের গ্রেফতার করেন।
তিনিই সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলীর ঝিলংজা মৌজায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল.এ ০৪/২০১৮-১৯ইং নং মামলা মূলে বি.এস ১৭০৫০, ২০৩০৭, ২০৩০৬ ও ২০১৬৩ দাগের প্রায় এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণে মোহাম্মদ ইদ্রিছ সিআইপি, নুরুল হক ও বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়। সিন্ডিকেটে নাছির উদ্দিন, টিপু সুলতান, ফেরদৌসী আক্তারসহ সিন্ডিকেট সদস্যদের স্ত্রী এবং বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। নুরুল আল, মফিজুর রহমান, সেলিম গংসহ বিভিন্ন মানুষের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণ দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকরা সেখানে ক্ষতিপূরণের কোন টাকা পাননি।
জমির প্রকৃত মালিকরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। এমনকি আদালতের আশ্রয় নিলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞাকেও পরোয়া করেননি সিন্ডিকেট সদস্যরা।
এঘটনায়ে দায়ের করা মামলাায় আদালত সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে শোকজও করেছিলেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে জমির প্রকৃত মালিকদের একাধিক অভিযোগ এবং মামলাকে পাশ কাটিয়ে কৌশলে সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে-বেনামে ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যু করে সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেন সরকারি কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, বাতিলকৃত খতিয়ান দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জমি না থাকলেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-