মোঃ কামাল উদ্দিন, চকরিয়া •
কক্সবাজারের চকরিয়ার ফঁাসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালীতে স্বামীর মারধরে স্ত্রী সামিরা আক্তার (২০) নামে এক সন্তানের জননী মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার কফিল উদ্দিনের পুত্র বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী বোরহান স্ত্রী সামিরাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে স্ত্রীকে বেদম মারধর করে স্বামী বোরহান। এক পর্যায়ে গুরতর জখমী সামিরা আক্তার মুমুর্ষ অবস্থায় কোন চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন।
পরে ২নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মোঃ সোলায়মান চকরিয়া থানায় ফোন দিলে খবর পেয়ে ঘটনার দিন বিকালেই ফঁাসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালী এলাকার বাসা থেকে নিহত সামিরার লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া থানা পুলিশ। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী বোরহান পলাতক রয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে। এ নিয়ে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিক আব্দুল মজিদ জানান, সামিরা আক্তার (২০) নামের গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ার বলেন, মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তার শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ছমিরা আক্তারের মা দিলোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তঁার মেয়ের স্বামী বোরহান উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্পে চাকুরি করেন। চাকুরি করার সুবাধে তাদের মেয়ে ছমিরাকে বিয়ে করে উখিয়া জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন। তাদের সংসারে ১১মাসের একটা বাচ্চা রয়েছে। এক মাস আগে ওই ভাড়া বাসা থেকে আমার মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে বোরহান কাউকে না জানিয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। চলে আসার পরে মেয়েকে বিভিন্ন অজু হাতে মারধর করতো বলে মেয়ে ছমিরা আমাকে কয়েকবার জানায়। ঘটনার দিন (বুধবার) মেয়ের স্বামী বোরহান দিনের ২টার দিকে আমাকে মোবাইলে কল করে জানায় মেয়ে ছমিরা বিষ খেয়ে মারা গেছে। এর পর বোরহানের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগ করলে তার পর থেকে মোবাইলে আর সংযোগ পাওয়া যায়নি। এতে বোরহান প্রতি আরও সন্দেহ বেড়ে যায়।আমার মেয়েকে হত্যা করে সে পালিয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এক মহিলার লাশের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তবে কীভাবে তঁার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-