নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি •
বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া এলাকায় গর্জই খালের উপর অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখায় ফলজ, বনজ নার্সারি সহ ভূট্টা, পেপে ও আলু ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন নার্সারির মালিক হাবিবুর রহমান প্রকাশ হাবিব মাঝি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী ইউনিয়নের পুনর্বাসন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান নারিচবুনিয়া ধৈয়ারবাপের পাড়া সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ, রাবার চারার নার্সারি করে আসছে। উক্ত নার্সারি থেকে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন উপজেলা শহরে পর্যন্ত ক্রয় করে নিয়ে যায়। কিন্ত এ বছর গর্জই খালের উপর অপরিকল্পিত বাঁধ দেওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি ঢুকে নার্সারির অধিকাংশ চারা মারা যায়। ফলে নার্সারির মালিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্শ্ববর্তী ভূট্টা চাষী নুরুল আলম জানান, খালের আটকানো পানি যদি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে বাকী চারাও মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নার্সারির মালিক হাবিবুর রহমান আরো জানান, তিনি ১৮ বছর নার্সারির ব্যবসায় জড়িত। সহায় সম্বল যা ছিল সবই দিয়ে নার্সারিতে দিয়েছি। এই নার্সারিতে আমার সংসার চলে। কিন্তু এবছর খালের উপর এই এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাদি অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে সব ধ্বংশ করেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন তিনি। তিনি আরো জানান, নার্সারির পাশাপাশি খালি জমিতে পেপে, টমেটো, আলু, বেগুন, ভুট্টা সহ নানান জাতীয় সবজির চাষ করেছিল। খালের পানিতে সবই ধ্বংশ করেছে। এখন তিনি অসহায়। বাধের মালিকের নিকট জানালেও কোন ধরনের কর্নপাত করেনি। বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে ও নার্সারির মালিক হাবিবুর রহমান জানান।
খালের উপর অপরিকল্পিত বাঁধ দেওয়ায় বিষয়ে আবদুল হাদির নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বোরোধান চাষের আওতায় আনার জন্য খালের উপর প্রতি বছর ন্যায় এবছরও বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ী খালে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার ফলে নার্সারির ক্ষতি হয়েছে। জেনে শুনে তিনি ক্ষতি করেনি বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে তিনি ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা গভীর করে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-