ফারুক আহমদ •
উখিয়ায় ৩টি রাবার ড্যাম বদলে দিয়েছে ১ হাজার ৫ শত কৃষকদের ভাগ্য। রাবার ড্যামের পানি দিয়ে চাষাবাদের সুযোগ পেয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে এলাকার শত শত প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও বর্গাচাষীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে রাবার ড্যাম প্রকল্প বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
এদিকে স্থাপিত রাবার ড্যামের আওতায় খালের দু’পারে কৃষি-মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র হ্রাসসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এমনটি মনে করছেন স্থানীয় উপকারভোগী সদস্যরা।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে,
হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাগলিরছড়ার উপর রাবার ড্যাম, রাজাপালং ইউনিয়নের ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে পশ্চিম ডিগলিয়া রাবার ড্যাম ও ৩ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রত্না পালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া থিমছড়ি পূর্বকূল খালের উপর রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহরাব আলী জানান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাবার ড্যাম প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করেন।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিউটন চৌধুরী জানান, রত্না পালংয়ের থিমছড়ি রবার ড্যামে ৩ শত ২৮ হেক্টর , রাজা পালংয়ের পশ্চিম ডিগলিয়া পালং রবার ড্যামে ৩ শত ৫৭ হেক্টর ও হলদিয়া পালংয়ের পাগলির বিল রবার ড্যামে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে দাবী করে উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তক আহমদ জানান, ৩ টি রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ১ হাজার একর অনাবাদী জমিতে বোরো চাষাবাদসহ শাক-সবজ্বি উৎপাদনের মাধ্যমে এলাকার
কৃষকেরা আত্মনির্ভরশীল হবে।
স্থানীয় উপকারভোগী সদস্য আশরাফ মিয়া জানান, রাবার ড্যামের আওতাধীন পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ী আমানতের টাকায় ঋণ নিয়ে ছোটখাট ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে।
রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া খালের উপর নির্মিত রাবার ড্যাম ঘুরে স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানান, রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ৪ শত একর জমিতে বোরো চাষাবাদ সম্ভব হয়েছে।
থিমছড়ি রাবার ড্যাম্প পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন জানান, শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে শত শত একর জমি অনাবাদি ছিল। কিন্তু খালের ওপর রাবার ড্যাম স্থাপন হওয়ায় অত্র এলাকার কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-