ডেস্ক রিপোর্ট •
নেত্রকোনার এলএ শাখার সার্ভেয়ার কেশব লাল দেব কক্সবাজারে দুদকের আটক হয়েছেন। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটিতে নেত্রকোনা ত্যাগ করেন কেশব লাল দেব। এরপর থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ২০ কার্যদিবস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কৌশলে সরকারের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি নজরে আসার পর মোহাম্মদ ওয়াসিম নামে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এক সার্ভেয়ারকে আটক করে দুদক। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের ২২ জুলাই মো. সেলিম উল্লাহ, ৩ আগস্ট মোহাম্মদ কামরুদ্দিন ও সালাহ উদ্দিন নামে তিন দালালকে আটক করা হয়। আটককৃতদের জবানবন্দিতে প্রায় দেড়শ দালালের নাম ওঠে আসে। তাদের প্ররোচনা ও সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে সার্ভেয়ার কেশব লাল দেব, কানুনগো ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মিলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমদের অধীনে যেসব ক্ষতিপূরণের মামলা ছিল সবকয়টি ক্ষতিপূরণ নিয়ন্ত্রণ করতেন সার্ভেয়ার কেশব লাল দেব।
সার্ভেয়ার কেশব লাল দেব ও তার স্ত্রী মুক্তা রাণী দাশের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মতিঝিল শাখার অ্যাকাউন্টে দালাল মুহিব উল্লাহর অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ বাবদ জমা দেয়া হয়।
জেলা ভূমি কর্মকর্তা (এলএ শাখা) মাহমুদা আক্তার জানান, কেশব লাল দেব কোনো ছুটি নেননি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে কক্সবাজারে দুদকের হাতে কেশব লাল দেবের আটকের খবর পাওয়া গেছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, কক্সবাজার আটকের পর থেকেই কেশব লাল দেব বরখাস্ত রয়েছেন। তিনি শুধু একটি ভাতা তুলতে পারবেন।
কেশব লাল দাস কক্সবাজার এলএ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার। গত বছরের ৪ অক্টোবর তিনি নেত্রকোনা জেলা সদরে যোগ দেন। তিনি কুমিল্লার দ্বেবিদার থানার কোরপাই জাফরপুরের কাশিনাথ দেবের ছেলে। গত ২৩ জানুয়ারি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এরপর তিনদিনের রিমান্ড শেষে কেশব লাল দেব কক্সবাজার কারাগারে আছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-