ওয়েব ডেস্ক •
ইন্টারনেটের এই যুগে পর্ন এক ব্যাধিসম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পর্নসাইট ব্যান করার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে এর প্রসার। তবে প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখার অপব্যবহার করে ঠিকই এখনো মানুষ ঝুঁকছে এসব ভিডিওর দিকে। ইভটিজিং, ধর্ষণ, রোধে এবার ভারতের উত্তর প্রদেশের সরকার এক বিশেষ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পুলিশ এবার মনিটর করবে কে বা কারা কী সার্চ করছে। এই লক্ষ্যে তারা একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে যারা বিভিন্ন পর্ন কনটেন্ট যাচাই করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেউ পর্ন সাইট খুললেই সেই তথ্য চলে যাবে পুলিশের কাছে। ভবিষ্যতে তা নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নারীর সুরক্ষার জন্য উত্তর প্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। যার নাম ‘ইউপি উইমেন পাওয়ারলাইন ১০৯০’।
ইউপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নীরা রাওয়াত জানান, ১০৯০ নম্বরে ফোন দিয়ে যে কেউ নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রুখতে তথ্য সরবারহ করতে পারবেন। এ ছাড়া কেউ যারা পর্ন সার্চ করেছে তাদেরও সচেতন করা হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো অপরাধ না ঘটতে পারে। তিনি আরও জানান, পর্ন সার্চ করা মানুষের তালিকা পুলিশের কাছে থাকবে। ফলে এলাকায় নারীদের প্রতি সহিংসতায় জড়িত কোনো অপরাধী থাকলে তাকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া সহজ হবে।
জানা গেছে, ‘উম্ফ’ নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ইন্টারনেটে সার্চ করা তথ্য বিশ্লেষণ করবে। কোনও ব্যক্তি যদি পর্ন দেখেন, সেই তথ্য জমা পড়বে বিশ্লেষক দলের নথিতে। এই সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হবে সেই ব্যক্তিকেও।
নীরা গণমাধ্যমকে আরো জানান, ইউপিতে প্রায় ১১ দশমিক ১৬ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। আমরা সব ব্যবহারকারীর কাছেই পৌঁছাতে চাই।
এই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, লখনৌর কিছু পাবলিক জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নারীদের মুখের ভঙ্গিমা দেখে আক্রান্তকে নির্ণয় করা যাবে এবং পুলিশে জানানো যাবে।
যদিও এই আইনটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলেছেন নারীদের গোপনীয়তার বিষয়টি এতে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
সূত্র- ডেকান হেরাল্ড।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-