কিভাবে বুঝবেন আপনি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন

আজকাল প্রায়ই শোনা যাচ্ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যার কথা। জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের কারণে এ সমস্যা দিন দিনই বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবদেহে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। লিভার শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়। কিন্তু লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমলে তা শরীরে থেকে টক্সিন বের করতে পারে না আর সেকারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে কিছু কিছু লক্ষণের মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়।

যেমন- যদি প্রস্রাবের রং অতিরিক্ত মাত্রায় গাঢ় হলুদ হয় তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
২. যদি অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠেন, অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে বা সারাদিন খুব ক্লান্ত লাগে, তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

৩. ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ত্বক অস্বাভাবিক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ত্বকে ছোপ ধরা বা গলার কাছের ত্বকের স্বাভাবিক রং পরিবর্তিত হতে পারে।
৪. পেট খারাপ না হওয়া সত্ত্বেও অকারণে মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা হলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
৫. ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় শরীরের পেশি ক্ষয় হতে থাকে। এর সঙ্গেই হাতের শিরা জেগে ওঠা বা বেরিয়ে আসা, চেহারায় বয়স্ক ভাব লক্ষ্য করলে লিভার পরীক্ষা করানো উচিত।
৬. পেটের মেদ অনবরত বাড়তে থাকলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করানো উচিত। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে হবে।
৭. বেশির ভাগ লিভারের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ পানিশূন্যতা, পেট খালি লাগা বা ঘন ঘন তেষ্টা পাওয়া। এই লক্ষণগুলি খেয়াল করলেই লিভার পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
৮. শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রঙ হলুদ হতে থাকলে ও অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা করানো উচিত।
৯. ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠৎ ক্ষুধা বেড়ে গেলে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি মেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়া পানির মধ্যে অল্প পিঙ্ক সল্ট অথবা বিট লবণ আর লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে খুব ভালো হয়। কাঁচা হলুদের কারকিউমিনও লিভার সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। লিভার সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি এর সরবরাহ থাকাটাও খুব জরুরি।

আরও খবর