শিশু হাফেজদের ভ্রমণের সুযোগ করে দিলেন রামুর ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক •

রামু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গর্জনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড়ে জুমছড়ি মরিচ্যাচর গ্রামে প্রতিষ্টিত গর্জনিয়া শাহ বদর আউলিয়া (রঃ) হাফেজখানা ও এতিমখানা অধ্যয়নরত ৩০ জন হাফেজদের পর্যটন নগরী কক্সবাজার দেখার সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার জেলার হলেও গর্জনিয়ার এসব কিশোর এর আগে তাদের জেলা শহর কক্সবাজার দেখার সুযোগ পায়নি। রামু উপজেলা প্রশাসন এসব সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের এমন সুযোগ করে দিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ফ্রেরুয়ারী) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার প্রচেষ্টায় শিশু হাফেজদের কক্সবাজার ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখানো হয়। পরে হাফেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুপুরে সাগর পাড়ে খাবারের আয়োজন করা হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা প্রণয় চাকমা শিশু-কিশোর হাফেজ অধ্যায়নরতদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানতে পারেন গর্জনিয়া প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়াতে অনেক পরিবারের শিশুরা এই পর্যটন নগরী কক্সবাজার নাম শুনলেও দেখেনি ।

তিনি বলেন, কক্সবাজার বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি স্থান। তবে আর্থিক সঙ্গতিসহ নানা কারণে তাদের কারও ভাগ্যে সেই স্বপ্নের কক্সবাজার দেখার সুযোগ হয়নি।

আমার স্বপ্নজাল বাসের মাধ্যমে তাদের নিয়ে পর্যটন এলাকা দেখার সুযোগ করে দিয়েছি। এসব শিশুদের ‘স্বপ্ন দেখা’র জন্য উৎসাহিত করতে হবে। স্বপ্ন না দেখলে কেউই সামনে এগুতে পারে না। তিনি আরো জানান, পর্যায়ক্রমে দ্বীপের আরো শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের এরকম শিক্ষা সফর হিসাবে কক্সবাজার দেখাতে আনা হবে।

হাফেজ আবদুর রশিদ বলেন,আমরা সমুদ্র দেখিনাই।আমরা আজকে সমুদ্র দেখার পর অনেক আনন্দিত হয়েছি।

গর্জনিয়া শাহ বদর আউলিয়া (রঃ) হাফেজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্টাতা দৈনিক খোলা কাগজ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি মোঃ নেজাম উদ্দিন জানান, সত্যি আনন্দিত আমি । এইসব সুবিধা বঞ্চিত হাফেজ শিশুদের রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার এমন আয়োজন ব্যতিক্রম । সাধুবাদ জানাচ্ছি এমন আয়োজনের জন্য।

আরও খবর