কক্সবাজারে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা গ্রহণ করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এরপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের, বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান সহ অন্যান্যরা টিকা গ্রহণ করেন।

এর মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকাদান কর্মসূচি। রোববার সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সারাদেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সংযুক্ত হয়ে আলোচনা শেষে এ টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছে। প্রথম দিন ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে। কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা ও রামু সেনা নিবাসে চলছে এ টিকা প্রদান কর্মসূচি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, কক্সবাজারের মানুষ সচেতন। এরা এগিয়ে এসে টিকা গ্রহণ করবেন এমনটাই আশা তাঁর।

উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি ৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কক্সবাজারে আনা হয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন আনা হয়। করোনার ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে নির্ধারিত তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। কক্সবাজারে আনা করোনার ভ্যাকসিনগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড আ্যাষ্ট্রাজেনের “কোভিশিল্ড” টিকা। এসব করোনা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন রাখা হয়েছে।

৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকাতে ৮ হাজার ৪০০ ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়াল টিকা আছে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা রয়েছে ১০ ডোজ। সে হিসাবে কক্সবাজারের ৪২ হাজার নাগরিককে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া যাবে। একজন নাগরিককে ২ ডোজ করে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দিতে হবে। এক ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে।

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরির নাগরিকগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া হবে।

তারা হলো : সকল সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়োজিত, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্তে অপরিহার্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনার সম্মুখযোদ্ধা সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত স্টাফ।

আরও খবর