নিজস্ব প্রতিবেদক •
সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ শুরু হয়েছে। এই ঠান্ডায় অসহায়-গরিব শিক্ষার্থীদের চলাফেরাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ইতিমধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে অনেক হাসপাতালে।
এমতাবস্থায় মুসলিম এইড, ইউকে-এর অর্থায়নে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেবা মানব কল্যাণ কেন্দ্র (এসএমকেকে)’র উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা বিতরণ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
এই শীতের তীব্রতার মাঝে কারোর ছাতার দরকার পড়েনা এবং ছাতা এই সময়ে কারো কোনো কাজেও আসবেনা। তাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেবা মানব কল্যাণ কেন্দ্র (এসএমকেকে)’র ছাতা বিতরণ যথাযথ হয়নি বলেন জানিয়েছেন অভিজ্ঞমহল। এ নিয়ে যেন প্রশ্ন থেকেই গেছে।
শামসুদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি শীতকালে এসএমকেকে’র ছাতা বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন “শীতকালে দরকার কম্বল, কিন্তু দিলেন ছাতা, কিন্তু কেন?
জাফর আলম নামের এক ব্যাক্তি বলেন, এনজিওরা তাদের প্রজেক্টের টাকা খরচ করার জন্য তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করে। বর্ষা আসতে এখনো দেরী, এসময়ে ছাতা না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে গরম কাপড় দিতে পারতো। এছাড়া তাদের বিতরণকৃত ছাতা ব্যবহারের সময় আসতে আসতে নষ্ট হয়ে যাবে।
এছাড়াও সময়ের কাজ সময়ে না করে দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে তারা স্থানীয়দের উপকারের চেয়ে নিজেদের উপকারের স্বার্থে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় যেসব এনজিও আছে তাদেরকেই কাজে লাগানো উচিত। কেননা তারাই ভালোভাবে জানে এলাকার পরিস্থিতি এবং চাহিদা। কেননা দিনশেষে তারাই স্থানীদের পাশে থাকছে।
অন্যদিকে ডোনারদের তারা ভালো কাজ করছে, তাদের পাওয়া প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট করেছেন এবং ভিন্নরকম কাজ করছে এইটা দেখিয়ে অন্য প্রজেক্ট নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষকে সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটা দেওয়া দরকার। এতে করে উপকারভোগীদের সুবিধা হবে।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এই বিষয়ে অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখে খুবই হাস্যকর মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয় খুবই দুঃখজনক। বাইরের কতিপয় এনজিও সংস্থার অসাধু কর্তারা ইউএনওর দোহাই দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত না করে মনগড়া কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা বিষয়টি আমার সাথে যোগাযোগ করলে পরামর্শ দিতাম, ‘এই শীতে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মাঝে যেন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-