হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে উখিয়ার উপকূলীয় মোঃ শফিরবিল এলাকায় বনভূমি দখল ও পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পরিবেশবাদীদের।
স্থানীয় মোঃ শফিরবিল গ্রামের মোজাফফর আহমদের ছেলে সালামত উল্লাহর বিরুদ্ধে বন ভূমির জায়গা দখল করে পাহাড় কেটে তা বিক্র করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হোটেল রয়েল টিউলিপের পাশে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন পর্যটন স্পট হিসেবে বিশাল এক নগর গড়ে তোলা হচ্ছে উখিয়ার মোঃ শফিরবিলের বড় একটি অংশে। জায়গা ভরাটে নতুন নতুন ভবন নির্মাণে ও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সেখানে নির্বিচারে ধ্বংস করা হয়েছে কৃষিজমি বৃক্ষরাজি ও পাহাড়। এখনও যে বিশাল বনভূমি দেখা যাচ্ছে তাও প্রভাবশালীদের দখলে।
স্থানীয়রা বলেন, এক সময় এই বনভূমিতে বিশালাকারের গর্জন গাছসহ প্রচুর গাছপালা বনলতা ও বন্যপ্রাণীর অবয়ারণ্য ছিল। প্রভাবশালীরা এখানে উপজাতীয় লোকদের আশ্রয়ের কথা বলে বিশাল বনভূমি দখল করে রেখেছে।
এলাকার লোক হিসেবে দাবি জানাচ্ছি, বেঁচে থাকার যে মূল উপাদান অক্সিজেন তা যেনও বন্ধ না হয়, পৃথিবীর পেরাক নামে খ্যাত সেই পাহাড় যেন কোনও ভাবে ধ্বংস না করা হয়।
বনভূমি দখল ও পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির ব্যাপারে সালামত উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বন বিভাগের লোকজন নার্সারী করার কথা বলে এই পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে গেছেন। তার এই কথায় সাফায় গেয়েছেন, মোহাম্মদ আলম, হাসান আলী, আব্দুস সালাম। তারাও বনবিভাগের লোকজন দাড়িঁয়ে থেকে এই পাহাড় কেটেছেন বলে দাবি করেন।
তারা আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও বনভূমি দখলের ফলে পাহাড় থেকে হাতির পাল বনভুমি ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। স্বয়ং সালামত উল্লাহ পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে জায়গা দখর করছে। সে মানুষের অধিকার ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করছে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক বলেন, বনভূমি ব্যবহারে এবং রক্ষণাবেক্ষনের ক্ষমতা বন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভিলেজারদের হাতে দিয়ে রাখাটাই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ ভিলেজারের পুত্র বা পরিবেশের সদস্য পরিচয় দিয়ে অথবা নার্সারী করার কথা বলে পাহাড় কাটা জায়েজ করে নিচ্ছে। মূলত তাদের একটি সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে জায়গা দখলে নেয়ার উদ্দেশ্য ব্যাতিত আর কিছুই নয়। এক শ্রেণির অসাধু লোক পাহাড় কেটে বন ধ্বংস করে দিচ্ছে।
ইনানী রেঞ্জে নার্সারী করার জন্য বন বিভাগের লোকজন দিয়ে পাহাড় কেটেছেন এমন অভিযোগ স্থানীয় সালামত উল্লাহসহ অনেকের। এ কথার সত্যতা জানতে চাওয়া হয় ইনানী রেঞ্জার তোসাদ্দেক এর কাছে।
তিনি বলেন, নার্সারীর জন্যে আমার লোকজন কেউই এই পাহাড় কাটেনি। এখানে বন বিভাগের কেউ জড়িত নাই। প্রকৃত পাহাড় খেঁকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-