স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ত্যাগী নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করা হবে—জাহাঙ্গীর কবির নানক

এম.এ আজিজ রাসেল •


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ দলের সব পর্যায়ে ত্যাগী, সৎ, কর্মীবান্ধব নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেয়া হবে।

পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থী, হাইব্রিড, সুযোগসন্ধানী ও দুর্নীতিবাজদের বাদ দেয়া হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসাদের আশ্রয়—প্রশ্রয়দাতাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান থাকবে এটা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ। শুধু পৌর বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনই নয়, দলের সবস্তরে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনের অভ্যন্তরে সুবিধাবাদী নেতাদের আধিপত্য বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগ তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতাবান হওয়ার মনোবাসনা থেকে। ফলে সংগঠন দুর্বল হচ্ছে। পৌরসভার পর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে কোন অযোগ্য মানুষের হাতে নৌকা দেয়া হবে না। ইউনিয়নে কমিটি করে উপজেলা—জেলা পর্যায়ে হয়ে কেন্দ্রে যাবে। এ ক্ষেত্রে যেন স্বচ্ছতা আসে। দয়া করে সততা রক্ষা করুন। সততা ছাড়া শক্তিশালী হবে না দল। পৌরসভাসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ত্যাগী নেতাদের এবার মূল্যায়ন করা হবে। আওয়ামী লীগ ত্যাগীদের দল। কর্মীদের ত্যাগের মূল্যায়ন করেই আওয়ামী লীগের পথচলা।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভাসহ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে বড় পরিবর্তন আসবে। বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের বড় অংশ বাদ পড়বেন এবার। আগামী মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে দলটির প্রাণশক্তি তৃণমূলে প্রাণের সঞ্চার ঘটাবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

দীর্ঘদিন ধরে ‘বঞ্চনার শিকার’ তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের এবার মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে তাদের মনোকষ্ট দূর করবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার ৭২ দিনের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ করা হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোরভাবে তা দমন করেন। তেমনিভাবে শাপলা চত্বরের আন্দোলনও দমন করেছিলেন।

২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জ্বালাও পোড়াও করেছে। ভ্যাকসিন ও অটোপাস নিয়ে রিজভী সরকারের সমালোচনা করছেন। তাঁর মনে রাখা উচিত আন্ডার মেট্টিকম পাস নেত্রীর পেছনে থেকে তাঁর মুখে এমন কথা মানায় না। শিক্ষা খাতে প্রধানমন্ত্রী অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। আপমারা দিন কানা, রাত কানা। তাই আপনাদের চোখ কিছু দেখে না। করোনা পরিস্থিতি তিনি দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করেছে বলে দেশে তার প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে।

তাই শত্রুর অবস্থা চিহ্নিত করে চলতে হবে। চিহ্নিত না হলে তারা দলে ঢুকে কোন্দল সৃষ্টি করবে। যারা দলে কোন্দল করবে তারা দলের ভাল চায় না।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজ শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আজ থেকে ১৫ বছর আগে কেমন ছিল কক্সবাজার, কেমন ছিল কুতুবদিয়া আর কেমন ছিল সেন্টমার্টিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু নতুনভাবে তৈরি সাজিয়েছেন। আজ বাংলাদেশ পুরো বিশে^র মাঝে উন্নয়নে অনন্য উদাহরণ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ( ভারপ্রাপ্ত) এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি আজিজুর রহমান, শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ, সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্বাস উদ্দীন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ বাঙালি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, এড. ফরিদুল আলম চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রশীদ আহমদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ—সভাপতি এড. বদিউল আলম, জাফর আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আদিল উদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, সোনা আলী, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, এড. সুলতানুল আলম, জিএম কাশেম, ডা. মাওলানা নুরুল আবছার, বদরুল হাসান মিলকী, পৌর আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি আছিফুল মাওলা, সেলিম নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক মাহমুদ, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারূফ আদনান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক নূরী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা এবি ছিদ্দিক খোকন, গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মো. ইয়াহিয়া খান, আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, বজল আহমদ, আবু আহমদ, তাজউদ্দীন, হাবিব উল্লাহ, জাফর আলম, খোরশেদ আলম রুবেল, সোহেল রানা, আমির উদ্দিনসহ যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর