মুজিব জন্মশতবর্ষ বার্ষিকী উপলক্ষে চকরিয়ার দুইশত হতদরিদ্র ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন নতুর ঘর

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বার্ষিকী উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলার দুইশত হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন মাথা গুজার ঠাই নতুন ঘর।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব গৃহহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোপূর্বে প্রশাসন উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবার যাচাই বাচাই সম্পন্ন করে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে ২০টি নৃতাত্বিক পরিবারও রয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকল্পে চকরিয়া উপজেলায় দুইশত ভূমিহীন পরিবারকে নতুন সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে তা তাদের কাছে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে ২০টি নৃতাত্বিক জনগোষ্টির পরিবারও রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে অর্থ বরাদ্দের অনুকুলে এসব ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি ব্যয়ে ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বরাদ্দের বাইরেও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় সাপেক্ষে মাটি ভরাটের কাজটি উপজেলা প্রশাসন তদারকি করেন। ২ শতক জমিতে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরে থাকছে ২টি কক্ষ, ১টি বারান্দা, ১টি কিচেন রুম, ১টি বাথ রুম ও ১টি বেসিন।

চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের অধীনে বেদখলে থাকা সরকারি খাসজমি উদ্ধার করার পর ওই জমিতে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। পরে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এসব বাড়ি হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার গুলোকে তুলে দেয়া হচ্ছে।  ইউএনও আরও বলেন, নবনির্মিত এসব ঘরের বিপরীতে ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত কবুলীয়ত দলিল বিতরণ তুলে দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন ও সাব রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১৮ ইউনিয়নে ৩৬টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এসব ইউনিয়নে অবশিষ্ট ভূমিহীন পরিবারকে নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও খবর