নিজস্ব প্রতিবেদক •
টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উখিয়ার ২০ নম্বর শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বিভিন্ন ব্লক থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে যেতে ইচ্ছুক, এমন ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আজ বুধবার স্থানান্তর করা হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) মাধ্যমে বেলা তিনটার দিকে এ স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী সচিব পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পটি খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়াসহ অন্য ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।
বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পটি খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়াসহ অন্য ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিনও স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার পর্যটন এলাকা ও টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য এই শিবিরের রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
আজ প্রথম দফায় ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে উখিয়ার স্থানান্তর করা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের মাধ্যমে আজ বিকেলে নয়টি বাস ও চারটি ট্রাকে করে রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ শরণার্থীশিবিরে বসবাস করা সব রোহিঙ্গা নাগরিককে বিভিন্ন শিবিরে হস্তান্তর করা হবে। প্রথম দফায় প্রায় সাত শতাধিক রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের রোহিঙ্গা দলনেতা মোজাহার মিয়া বলেন, এ রোহিঙ্গা শিবির থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করার কাজ শুরু করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে বাহারছড়ার পাহাড়ের পাদদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পালিয়ে থাকছে। এতে তাদের অপরাধ আরও বৃদ্ধি পায়। তাই রোহিঙ্গাদের শিবিরের মধ্যে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-