অনলাইন ডেস্ক •
কংগ্রেসের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে পপুলার ভোটের ভিত্তিতে ইলেকটোরাল কলেজের দেওয়া ভোটগুলো গোনা হচ্ছে এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রত্যয়ন করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়ন করতে কংগ্রেসের এই অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগেই ওয়াশিংটন শহরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।
যখন ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটালে (পার্লামেন্ট) ইলেকটোরাল কলেজের দেওয়া ভোটগুলো গোনা হচ্ছে এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রত্যয়ন করা হচ্ছে। এমন সময় ট্রাম্প সমর্থকেরা ক্যাপিটালের ভেতরে গুলি চালায় এমনকি ভাঙচুর করে।
যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজির বিহীন ঘটনা।
এ ঘটনায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র কারফিউঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন পোস্ট খবরে বলা হয়েছে, ফল প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প সমর্থকেরা ওয়াশিংটন ডিসিতে বড় ধরনের জমায়েত করেছে। যখন ক্যাপিটাল হিলে ইলেকটোরাল কলেজের দেওয়া ভোটগুলো গোনা হচ্ছে এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রত্যয়ন করা হচ্ছে।
ভোটে ব্যাপক কারচুপির দাবি করে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা থেকে বিরত থাকার দাবি তোলা হয় ক্যাপিটাল হিলের বাইরে থেকে। মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকেরা সন্ত্রাসীরা কর্মকাণ্ড চালায়। আমেরিকার ইতিহাসে এমনটি ঘটেনি। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এইসব জঙ্গি সমর্থকদের এখানে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাচনে এখনো তার পরাজয় স্বীকার করেননি। তিনি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন এবং কিছু রিপাবলিকান সিনেটর জানিয়েছেন, তারা এই নির্বাচনী ফল অনুমোদনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানাবেন।
একদিকে ক্যাপিটালের বাইরে যেমন ট্রাম্প সমর্থকেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। অন্যদিকে ক্যাপিটালের মধ্যে রিপাবলিকানরা জো বাইডেনের বিরোধিতা করেন। যেমন অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ১১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে দেওয়ার পর পরই আপত্তি জানানো হয়। যেখানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সমর্থন জানায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-