রাসেদুল ইসলাম মাহমুদ •
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্পে স্থানীয়দের চাকুরীচ্যুত করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবৈধভাবে চাকুরী দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন।
গত ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতনের কারণে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছে, যার অধিকাংশই বর্তমানে পালংখালী ইউনিয়নে বসবাস করছে।
বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও হোস্ট সম্প্রদায়ের জন্য এনজিও ও আইএনজিও এর মানবিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। কিন্তু স্থানীয় জনগোষ্ঠী এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থান জনিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাই RRRC ও এনজিও ব্যুরো স্থানীয়দের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
কিন্তু World Vision নামক সংস্থা জিএফএ প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় রোহিঙ্গাদের চাকরিতে না নেয়ার ব্যাপার নির্দেশনা থাকলেও প্রতিনিয়ত উল্লেখিত আইএনজিও স্থানীয়দের সুযোগ না দিয়ে চাকুরী থেকে ছাটাই করছে এবং রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ যা অপ্রিতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে। World Vision নামক আইএনজিও ক্যাম্প- 8E, 8W, 9, 10, 11, 12, 17,18, 20, 20 ext এ চাকুরী থেকে কিছু স্থানীয়দের ছাটাই করেছে এবং ২০৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাকুরী দিয়েছে।
যার ১২৪ জন রোহিঙ্গা মাসিক বেতনে এবং ৮২ জন রোহিঙ্গা দৈনিক বেতনে চাকুরী করছে। যা এনজিও ব্যুরো এবং আরআরআরসি (RRRC) নিয়ম পরিপন্থী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট থাকলেও পালংখালী ইউনিয়নের বা স্থানীয়দের অবহেলা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন, উখিয়া সংশ্লিষ্ট সিআইসি মহোদয়ের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন এবং চাকুরীচ্যুত স্থানীয়দের চাকুরীতে পূণর্বহালসহ রোহিঙ্গাদের চাকুরী থেকে ছাটাই করে উক্ত স্থলে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সিআইসি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে ১১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-