টেকনাফে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন: ঘাতক স্বামী আটক

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফের রাখাইন পল্লীতে পারিবারিক কলহের জেরধরে এক নরপিশাচ স্বামীর ছুরিকাঘাত করে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। নিহত নারী ৩ সন্তানের জননী।

পুলিশ সদস্যরা সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক স্বামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া রাখাইন পল্লী এলাকার উছিংগ্যার মেয়ে চ খিং ওয়ান (৪৩) এবং স্বামী বার্মাইয়া উক্য ওয়ান এর সাথে পারিবারিক কলহের জের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীর বুকের দুই পাশে, তলপেট ও হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে সে রক্তাক্ত হয়ে মাঠিতে লুটে পড়ে যায়। এরপর ছুরিকাঘাত হওয়া মহিলার ছেলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘাতক স্বামী কৌশলে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে ঘাতক স্বামীকে হ্নীলা পানখালী পাহাড়ি ঢালা জাফরের পেয়ারা বাগান থেকে ঘাতক স্বামীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ঘটনার বিষয় নিয়ে রাখাইন পল্লীর সর্দার মাষ্টার মংথিং অং জানান, ঘাতক স্বামী ছোটকাল হতে বার্মা থেকে এসে এই গ্রামে বসবাস করছিল। এরপর নিহত মহিলার সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ জন সন্তানের আগমন ঘটে। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঘাতক স্বামী তার স্ত্রীকে দুইবার ছুরিকাঘাত ও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। যা স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেওয়া হয়। এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক তবে ঘাতক স্বামীকে সাথে সাথে আটক করতে সক্ষম হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সংঘটিত এই ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করছে। এদিকে পুলিশ সদস্যরা ঘাতক স্বামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।####

আরও খবর