এম.এ আজিজ রাসেল •
৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল আনন্দ র্যালী ও সমাবেশ। বুধবার বিকালে শহীদ দৌলত ময়দানে বিজয় মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজা শাহ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, এড. বদিউল আলম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রণজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এড. তাপস রক্ষিত, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, হেলাল উদ্দিন কবির, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসিফুল মাওলা ও ডা. পরিমল দাশ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ মনজুর ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এর ধারাবাহিকতা চলছে। আর বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। তাদের হাতে গণতন্ত্র কোনোদিনই নিরাপদ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের কারিগর।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৪ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি। তারা সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। তারা গণতন্ত্র নয়, ক্ষমতার রাজনীতি করেছে।
ওরা গণতন্ত্র বোঝে না, তাদের গণতন্ত্র হল হাওয়া ভবন সৃষ্টি। তাদের গণতন্ত্র হল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা। তাদের গণতন্ত্র হল দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা। তারা এ দেশে ধর্মভিক্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে যারা দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশ শেষে বেলুন উড়িয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এর আগে দুপুর ৩ টায় পাবলিক লাইব্রেরিস্থ শহীদ দৌলত ময়দান থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বের করা হয় বিশাল আনন্দ র্যালী। জাতীয় ও দলীয় পতাকাসহ বাদ্য-বাজনা নিয়ে র্যালীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় পৌর আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা তাতী লীগ, জেলা কৃষকলীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-