মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া •
উখিয়ায় ইউএনএইচসিআর এর অর্থায়নে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২০) সকাল ১০:৩০ মিনিটে উখিয়া উপজেলা কনফারেন্স রুমে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্প অফিসার মো: আলতাফ হেসেন এর সঞ্চলনার মুক্তি ককসবাজার এর প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত আমিমুল আহসান খান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) উখিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, লাইভলিহুড এন্ড ইকোনোমিক ইনকুলুশন অফিসার, ইউএনএইচসিআর৷
UNHCR এর আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক Improving Peaceful Coexistence And Self Reliance Opportunities For Refugees And Host Community প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন উন্নয়নের জন্য বিগত ১লা জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে উখিয়া উপজেলায় মোট ১৫১৬ টি ( রাজাপালং ইউনিয়নে ১০৩১ ও পালংখালী ইউনিয়নে ৪৮৫) স্থানীয় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মাঝে জীবিকায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
প্রকল্পের সম্পাদিত কার্যক্রম এর ফলাফল স্টেকহোল্ডারদের সাথে প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বিনয় কৃষ্ণ তালুকদার।
সভায় প্রধান অতিথি আমিমুল এহেছান খান বলেন, উন্নয়নের দরজা আরো সমৃদ্ধ করনের জন্য প্রশিক্ষন ও শিক্ষন অতীবও প্রয়োজন। জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একটি উত্তম উদাহরন। উম্মুক্ত আলোচনা অবশ্যই হতে হবে কার্যকরী প্রশ্নকরণ ও উত্তর প্রদানের মাধ্যমে যাহা আজকের অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ করবে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো একে অন্যের সাথে বিনিময় করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ইউএনএইচসিআর এর লাইভলিহুড এন্ড ইকোনোমিক ইনকুলুশন অফিসার, সুব্রত কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি মাঠ পরিদর্শন করে ও সুবিধাভোগিদের আলোচনার মাধ্যমে
যে সফলতার গল্প শুনে ভাল লাগলো প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের প্রকল্পের সফলতা আনতে কমপক্ষে ৩ বছর কাজ করতে হয়।
তাই স্থানীয় জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে এবং কারিগারি শিক্ষা প্রদানের নিমিত্তে এ ধরনের প্রকল্প ইউএনএইচসিআর ভবিষ্যতে উখিয়া ও টেকনাফে বাস্তবায়ন করবে বলে সভায় উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন।
সভায় মুক্তি ককসবাজার এর প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, মুক্তি কক্সবাজার, কক্সবাজারের স্থানীয় একটি সংস্থা। মুক্তি ককসবাজার নারীদের ক্ষমতায়ন, দারিদ্রতা দূরীকরনসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে কাজ কওে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় ইউএনএইচসিআর এর অর্থায়নে মুক্তি কক্সবাজার।
সাংবাদিক ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুক্তি কক্সবাজার উখিয়ায় যে কাজ করতেছে তাতে উপকারভোগীরা সন্তুষ্ট। তাঁরা চাই এমন কাজ যাতে চলমান থেকে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য উপকার করতে পারে সে জন্য অনুরোধ করেন।
প্রকল্প সমন্বয়কারীর উপস্থাপনা শেষে সফল চাষীদের মধ্যে তাদের সফলতার কথা শোনান ২ জন পুরুষ ও ৪ নারী
সুবিধাভোগি। তাদের সফলতার গল্প উপস্থিত সকলের কাছে প্রশংসিত হয় এবং তাদের সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য উপস্থিত সরকারী বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগন তাদেও সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার অংগিকার ব্যক্ত করেন।
উক্ত প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপে আরও উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সায়েদ মোহাম্মদ আনোয়ার, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশান ও সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল এবং মুক্তি কক্সবাজার এর মো: শাহাদাত হোসাইন লাইভলিহুড এসোসিয়েট, অশোক কুমার সরকার প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী, মো: ফয়সাল বারী ম্যানেজার এমএন্ডই সহ রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা, এনজিও কর্মকর্তা, শিক্ষক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদকর্মীবৃন্দ৷
উম্মুক্ত আলোচনায় সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও কর্মকর্তা এবং সুবিধাভোগিগন অংশগ্রহন করে তাদের গুরুত্বপুর্ন মতামত ব্যক্ত করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-