অনলাইন ডেস্ক •
অন্য ১০ ফেরিওয়ালার মতোই ভাব। হাতে চুড়ি, লেইস ফিতার বাক্স। মুখে চিরচেনা সেই হাঁক- ‘এই লেইস ফিতা, লাল চুড়ি, নীল চুড়ি’। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত গ্রাহক ছাড়া অন্য কারো কাছেই ঘেঁষেন না হকার মো. জসিম উদ্দিন। বিক্রিও করেন না কিছু্।
অস্বাভাবিক আচরণ দেখে তাকে আটক করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তার কাছ থেকেই উদ্ধার করে ২০০০ ইয়াবা। পরে তার দেয়া তথ্যে পরে মো. খাইরুল ইসলাম নামে তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়।
রোববার এসব তথ্য জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
আটক মো. জসিম উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জ ও মো. খাইরুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ওসি বলেন, জসিম এবং খাইরুল লেইস ফিতা, চুড়ি ফেরির আড়ালে ইয়াবা পাচার করত। আমাদের টিমের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে। পরে তল্লাশি করে জসিমের কাছ থেকে ২০০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জসিম ও খাইরুল মূলত ইয়াবা বহনকারী। তাদের নির্দিষ্ট বিক্রেতা ও ক্রেতা আছে। বিক্রেতার কাছ থেকে ইয়াবা কিনে নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়াই ছিল তাদের কাজ। প্রশাসনের চোখ এড়াতে লেইস ফিতা হকারের বেশ ধরত তারা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-