বিশেষ প্রতিবেদক •
পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহর এখন যান-যটের শহর। মানুষ যেদিকে যায় সেদিকেই যানযট আর যানযট। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এখন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, ঠিকমত চাকুরিজীবিরা চাকুরি স্থলে যেতে পারছে না, কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঠিক সময় যেতে পারছে না, মুমূর্ষ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হিমশীমে পড়ে যাচ্ছে স্বজনরা।
এইভাবে প্রতিদিন কক্সবাজারের মানুষের জীবনযাত্রা অতিবাহিত হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই! বারবার বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ টিভি চ্যানেল এর মাধ্যমে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত ঘটছে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা। এদিকে কক্সবাজার শহরে লিংকরোড, বাসটার্মিনাল সড়ক, কলাতলী, খুরুশকুল রাস্তার মাথা, রুমালিয়ার ছড়া, কালুর দোকান, বার্মিজ মার্কেট, বাজার ঘাটা, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্পের সামনে, হাসপাতাল সড়ক, গোলদিঘীর পাড় এই এলাকাগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় যার যা ইচ্ছা তা করছে। প্রতিনিয়ত যানযট, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তার দু’পাশ ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে। কিছু কিছু জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ দেখা গেলেও তারা নিজেদের কাজে ব্যস্ত দেখা যায় অথবা রাস্তার পাশে কোনো এক মার্কেটের কর্ণারে দাঁড়িয়ে থেকে তা উপভোগ করায় যেন তাদের দায়িত্ব। এইভাবে একটি পর্যটন শহরের বেহাল অবস্থায় থাকতে পারে না।
অনেক ভুক্তভোগী ও পথচারী জানান আসলে আমাদের এই পর্যটন শহর যেন দেখার কোনো অভিবাবক নেই, যদি থাকে তাহলে এইভাবে একটি শহর থাকতে পারে না। এই শহরে যার যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে। এখানে আইন আছে কিন্তু আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। কক্সবাজারের মানুষ কষ্ট পাক আর ভোগান্তি হোক ট্রাফিক বিভাগের কি যায় আসে, তারা তো মাস শেষে বেতন পাচ্ছে। এভাবে দায় ছাড়া কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজারের ট্রাফিক বিভাগ।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান রাস্তার দু’পাশে এই ভাসমান দোকান রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে এবং যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করছে তা কিন্তু ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে করতেছে, তাই তারা এখন রাস্তার রাজা। কক্সবাজারের সচেতন নাগরিকরা জানান অতিদ্রæত কক্সবাজার জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় কক্সবাজারে এই যানজটের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কক্সবাজারের অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-