নিজস্ব প্রতিবেদক •
উখিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস (প্রোগ্রাম ফর হেল্পলেস এন্ড লেগড সোসাইটিস) এর উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক গবেষণা পত্র উপস্থাপন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলা হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
এসময় অনুষ্ঠানে সামাজিক সম্প্রীতি কর্মসূচি বিষয়ক বিষদ উপস্থাপনা করেন ব্রাকের (প্রোগ্রাম ম্যানেজার-পার্টনারশীপ) মাযহার উল ইসলাম।
তিনি সামাজিক সম্প্রীতির উপর পদক্ষেপ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এনজিওদের সহায়তা করার ভূমিকা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াশ প্রত্যাশা করেন।
এসময় প্রধান অতিথি এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠির বহুমাত্রিক উন্নয়নে এনজিওদের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভবিষ্যতে এধরণের স্টাডি কাজের পূর্বে বেশী সংখ্যক স্টেকহোল্ডারদের বিশেষত সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া বেশী জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
উখিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এম. জাহাঙ্গীর আলম ও কামরুন নাহার বেবী, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোঃ আনোয়ার,অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার, উপজেলা মহিলা বিয়য়ক কর্মকর্তা শিরিন আক্তার, ব্র্যাকের ম্যানেজার মাযহার উল ইসলাম, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য মোজফ্ফর আহমদ।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন রিডসের চীফ কনসাল্টেন্ট দেওয়ান আবু এহসান। প্রতিবেদনে সামাজিক সম্প্রীতির বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষ দিকসমূহ তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ।’ বেশী বেশি নগদ অর্থ প্রদান করে মানুষকে অলস হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত না করতে তিনি পরামর্শ দেন।
এসময় উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সাংবাদিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। উখিয়ায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের অবস্থান একই সাথে হওয়ায় সাংবাদিক সমাজের গুরুত্ব আরো বেড়েছে। সাংবাদিক সমাজকে আরো অধিক দক্ষ করা গেলে এই সম্প্রীতি রক্ষায় আরো বেশি ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘এনজিওদের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।’
১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্য সৃষ্ট বাজার ব্যবস্থায় স্থানীয় পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের মধ্য দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী উদ্যোক্তা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সভাপতি।
সভায় চিহ্নিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা,পরামর্শগুলো পরবর্তীতে প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকশনা করা হবে বলে সভাপতি মতামত ব্যক্ত করেন যা পরবর্তিতে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সহায়তা করবে। সেমিনারটিতে ৪৫ জন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বিষয়ভিত্তিক মতামত প্রদান করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-