ভেঙে পড়েছে বাঁশখালী ছনুয়া-কুতুবদিয়া জেটিঘাট

বাঁশখালী প্রতিনিধি •

বাঁশখালীর ছনুয়া-কুতুবদিয়ার জনগণের পারাপার এবং কুতুবদিয়ার পীরে কামেল হযরত মাওলানা মালেক শাহ (রহ.)-এর মাজার জেয়ারতে যাওয়ার জেটি ঘাটটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
গত মঙ্গলবার এ জেটিটি ভেঙে পড়লেও এখন ও পর্যন্ত মোরামত করা হয়নি। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) তদারকিতে থাকা এ জেটি ঘাটটি প্রতি বছর ৪/৫ লাখ টাকা ইজারা প্রদান করলেও এটার উন্নয়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, ছনুয়া টার্মিনাল জেটি হয়ে মানুষ কুতুবদিয়া উপজেলায় যাতায়াত করে। কুতুবদিয়ার পীরে কামেল হযরত মৌলানা মালেক শাহ (রহ.)-এর মাজার জেয়ারত করার জন্য দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত-আশেক ও মুরিদ মাজার জিয়ারত করতে আসেন এই জেটি দিয়ে।
অধিকাংশ মানুষের কুতুবদিয়া যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ছনুয়া জেটিঘাট।

অন্যদিকে, কুতুবদিয়ার ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার প্রতিনিয়ত এই ঘাটই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে কুতুবদিয়া বাঁশখালীর পারাপারের একমাত্র অবলম্বন ছনুয়া জেটিঘাটটি দ্রুত মেরামত এবং সংস্কার করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে কারণ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার করে থাকে, শীঘ্রই এই জেটি ঘাটটি মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় জোয়ারের পানিতে ঘাটটি সাগরে তলিয়ে যাবে।

ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের ইজারাদার শমসের শরীফি জানান, বঙ্গোপসাগরে বর্ষা মৌসুমে তীব্র জোয়ার ভাটার কারণে জেটি ঘাটটি ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। অনেক সময় গাছের তক্তাগুলো ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ পথচারীরা।
প্রতি বছর সরকারিভাবে ৪-৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয় অথচ পেকুয়া মগনামা ঘাট এবং কুতুবদিয়া বরঘোপ ঘাট ও দরবার ঘাট পাকা হওয়ায় চলাচল সহজ হলেও বাঁশখালী ছনুয়া ঘাটটি পাকাভাবে র্নিমাণ করা হলে মানুষ দুঃখ আর দুর্ভোগ হবে না।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ বলেন, “ছনুয়া জেটি ঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাট। প্রতিদিন এ ঘাট হয়ে মালামাল পরিবহন সহ প্রচুর লোক পারাপার করে থাকে। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) এটার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে এটা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ তারা করায় পরিষদের পক্ষ থেকে কাজ করার সুয়োগ হয় না। তিনি এটা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।”

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নয়ন শীল বলেন, “করোনার কারণে উন্নয়নের তেমন কোনো বাজেট নেই। গত অর্থ বছরের চেয়ে এই বছর বাজেট অর্ধেক। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংস্কার করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও খবর