নিজস্ব প্রতিবেদক •
সেন্টমার্টিন দ্বীপে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা অবস্থায় খাবার রাখার দায়ে চারটি খাবার হোটেল কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোভিড-১৯ এই সংক্রমণ ও নিজেদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয় এবং নির্দেশ অমান্য কারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাট সংলগ্ন ও বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ এই সংক্রমণ ও নিজেদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নজর ও দৃষ্টি গোচর করতে দোকানের সমানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খোলামেলা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছের পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছিল। এতে করে মাছিসহ ধুলাবালি উড়ে গিয়ে পড়ছে ওইসব খাবারে। পসরা থেকে পছন্দের মাছ নিয়ে পযটকেরা তেলে ভেজে খাচ্ছেন। এসব মাছ খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ওইসব দোকানিকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ভোক্তা অধিকার আইনের তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে প্রতিটি মানুষের নিজের সুরক্ষা প্রয়োজন। নিজে বাঁচুন এবং অন্যকেও বাঁচতে সহযোগিতা করুন। এরপর ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটক ও বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের খাবার দোকান রয়েছে। তবে দোকানের মালিকপক্ষ সড়কের পাশে খোলামেলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবার রাখার দায়ে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাছ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের পাশাপাশি খোলামেলা ভাবে খাবার না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-