অনলাইন ডেস্ক •
কক্সবাজারের ধূসর জীবন থেকে এখন ভাসানচরের রঙিন জীবনে রোহিঙ্গারা। সেখানে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে ১৬শ ৪২ জন রোহিঙ্গা। জীর্ণ ঘর থেকে তাদের ঠিকানা এখন দালানকোঠায়। ছোট ছোট শিশু কিশোররা পাচ্ছে খোলামেলা পরিবেশ।
ভাসানচর নোয়াখালীর হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি অংশ। সেখানে আড়াই হাজার কোটি টাকার কর্মযজ্ঞ হয়েছে। সবকিছুই রোহিঙ্গাদের জন্য।
কি নেই সেখানে? হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, ধর্মীয় স্থাপনা, সাইক্লোন শেল্টার আর আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আবাসন। মোট ১২০টি গুচ্ছে বিভক্ত প্রকল্পের প্রতিটিতে ১২টি করে ঘর। যাতে আছে ১৬টি করে কক্ষ। প্রতি কক্ষে ৪ জনের থাকার ব্যবস্থা। প্রতি কক্ষের বিপরীতে একটি করে গ্যাসের চুলা।
রোহিঙ্গারা বলেন, আল্লাহ আমাদের নিয়ত পূর্ণ করেছে। আমরা এখন শান্তিতে আছি। সবার কথা বিশ্বাস করে এখানে আসছি। আসার পথে সবাই আমাদের খুব সম্মান করেছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের সুন্দর করে রাখছে খাবারের ব্যবস্থা ও খুব ভালো করেছে।
এতসব আয়োজন দেখে রোহিঙ্গারা ভাসান চরকে স্বপ্নপুরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ঘর বুঝে পাওয়ার পর নিজেদের মতো করে সাজিয়েছেন সবকিছু। সুযোগ সুবিধা যতটা ভেবেছিলেন তার চেয়েও বেশি মনে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের কাছে।
রোহিঙ্গা নারীরা বলেন, এখানে আসার পর ভালো লাগছে। ঘরগুলো দেখে আর বেশি ভালো লাগছে। রোহিঙ্গা যুবকরা বলেন, এখন তো ভালো লাগছে সুন্দর বাড়ি সুন্দর গাড়ি দেখে। খুব পছন্দ হয়েছে এই স্থানটি।
কক্সবাজারের জীর্ণ ঘরে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশু-কিশোররা ভাসান চরের খোলা মাঠ আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে উল্লাসে মেতে উঠেছে। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-