উখিয়ায় কুয়াশার সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা

আবদুল্লাহ আল নোমান, উখিয়া •


বছর ঘুরতেই আবারো চলে আসছে শীতকাল। অগ্রহায়ণ মাসের এই সময়ে গ্রাম বাংলায় কৃষকদের ঘরে ঘরে চলছে নতুন ধান ঘরে তুলার উৎসব।

হেমন্তের শেষে শীতের আগমনে গ্রাম বাংলায় পিঠা-পুলি যেন বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
তার পরিপেক্ষিতে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূলীয় পাহাড় ও নদীবধৌত উখিয়ায় ও ঠের পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। উখিয়ার কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে এখন নতুন আমন ধান ঘরে তুলার উৎসব। তাছাড়া বিভিন্ন শীতকালীন শাক-সবজি যেমন- মুলা, বেগুন, সীম, ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক, মুলাশাক, টমেটো, নতুন আলু, কাঁচামরিচ, লাউ, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজিতে হাটবাজার সয়লাব।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে গত একমাসে এসব শাক-সবজির দাম অর্ধেকের চাইতে কমে গেছে। উপজেলার কোটবাজার, কুতুপালং, মরিচ্যা ও দারোগা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজার সয়লাব। দাম কমে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতাসাধারণের ভিড়ও লক্ষ্যমান। ১৫-২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি মুলা, যা একমাস আগেও বিক্রি হত ৫০-৬০ টাকায়। ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশী বেগুন, যা একমাস আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হত। কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা একমাস আগেও ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হত। অর্থাৎ বাজারে এখন প্রতিটি শীতকালীন সবজির দাম কমে গেছে।

তাছাড়া শীত কাল আসার আগেই এই অগ্রহায়ণ মাসে উখিয়ার বিভিন্ন স্হানে ঠান্ডা তীব্রতা হচ্ছে। পৌষ-মাঘ মাসে যেই শীত পড়ে তা এখন থেকে লক্ষ্যমান। মানুষ দিনেও শীতবস্ত্র পরিধান করে হাটবাজারে চলাচল করছে। রাতে শীতের তীব্রতা থাকায় কম্বল ব্যবহার করছে। অনেকে শীতের সকালে রোদে দাড়িয়ে রোদ এবং আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে।

শীতের আগমনে গ্রাম অঞ্চলের জনপ্রিয় নতুন চালের ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে উখিয়ায়। হাটবাজারেও পাওয়া যাচ্ছে ভাবা পিঠা।

এককথায় শীতের আগমনে উখিয়ায় শীতের জমজমাট তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আরও খবর