ওমর ফারুক সোহাগ •
পর্যটন শহর কক্সবাজারে পাবনা রাস্তা আর তীব্র যানজটের কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে পৌরবাসী। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্ব পালন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানাগেছে, কক্সবাজার শহরের হলি ডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রধান সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে সড়ক প্রশস্ত করনে দু’পাশের অবৈধ স্থাপনাও সরিয়ে ফেলা হয়।
সড়কের কাজ কউক ইতোমধ্যে শুরু করেছে। শহরে পিটি স্কুল এলাকায় রাস্তার একপাশ নির্মাণ কাজ শুরু করলেও নির্মাণ কাজোর জন্য যানজট আরো তীব্র আকার ধারঙ করেছে।
সামিউল হক নামের এক পথচারী বলেন, বাস টার্মিনাল থেকে শহরের লালদীঘির পাড় পর্যন্ত পৌছতে সময় লাগছে প্রায় ঘন্টা। ভাঙ্গা রাস্তায় যে, যার মতো গাড়ি চালানো, যাত্রী উঠানামা ও ফোরলাইনে গাড়ি চালানোর কারণে যানজট লেগেই থাকে।
করিম উদ্দিন নামের একজন টমটম (ইজিবাইক) চালক বলেন, শহরে প্রধাম সড়কে যামবাহন চলাচলে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ যানবাহনের পাশাপাশি অবৈধ যান চলাচল ও অনাড়ী চালকের কারণে সবচেয়ে বেশী যানজটের সৃস্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহরে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পুলিশ থাকলেও যানজট নিরসনে কাজ করছে না তারা।
তবে, কক্সবাজার শহর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শাখা (ট্রাফিক অফিস) সুত্র বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, শহরে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সড়কে দুভাগে দায়িত্ব পালন করছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। শহরে যানজটের জন্য ভগ্নসড়ক ও ধারণ ক্ষমতার বেশী যানবাহন চলাচলকে দায়ী করছেন তারা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানায়, শহরের প্রধান ষড়ক প্রশস্ত করণ কাজ চলমান। রাস্তার কাজ শেষ হলে শহরে যানজট কমে যাবে। পর্যটক সহ পৌরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে। সড়কের নির্মাণ কাজ চলাকালে পথচারী ও পৌরবাসীর স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও উন্নয়নের জন্য তা স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার আহবান জানান কউক।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-