জার্নাল ডেস্ক •
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতেরা। গত ৫ থেকে ৮ই ডিসেম্বরে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েইজ যৌথ সফরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানেই বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তারা। এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যদিও বিশ্ব এখন কোভিড-১৯ মহামারিতে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। তবে এর মধ্যেও রোহিঙ্গাদের দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যেসব মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন দুই রাষ্ট্রদূত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত তিন বছর ধরে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা নিরাপদ, টেকসই, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
যদিও অবস্থাদৃষ্টে ধারণা করা হচ্ছে শিগগিরই এই প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। তাই তারা মাঝারি সময়ের পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছেন। সেখানে রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপার্টেশন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তা নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে দুই রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের অংশগ্রহণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, টেকসই এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর জোর দেন তারা। কক্সবাজার জেলার ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সঙ্গে বৈঠকে সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসের সাহায্যের কথা তুলে ধরেন দুই রাষ্ট্রদূত। এরপরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় উভয় সমপ্রদায়ের সঙ্গেই কথা বলেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, রোহিঙ্গা শিবিরের নারী ও শিশুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দুই রাষ্ট্রদূত। তারা বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। এসব সহিংসতার সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং ভিকটিমকে সাহায্য করতে হবে। নারী ও শিশুকে অবশ্যই নিরাপদ বোধ করতে হবে। সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স ফন লিন্ডে উদ্বাস্তু ও স্থানীয়দের মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্যের ওপর জোর দেন। বিজ্ঞপ্তির শেষে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-