ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চায় জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোর্ট • ভাসানচর রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সির (ইউএনএইচসিআর) হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। তিনি বলেছেন, ওইসব রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চায় ইউএনএইচসিআর এবং জাতিসংঘের অংশীদাররা। তারা বুঝতে চায় ওইসব রোহিঙ্গার আকাঙ্খা সম্পর্কে এবং ওই দ্বীপে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে চায়। রোববার তিনি এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন। তাতে ফিলিপ্পো বলেছেন, যেকোন স্থানান্তর অবশ্যই স্বেচ্ছায় এবং জ্ঞাত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হতে হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইউএন নিউজ। এতে বলা হয়, মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ১৬০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার ঝুঁকিপ্রবণ।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘ অফিস বলেছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রস্তুতি অথবা তাদের শনাক্তকরণের সঙ্গে তাদেরকে জড়িত করা হয়নি। এক বিবৃতিতে ওই অফিস বলেছে, ভাসানচরে যেকোনো পুনর্বাসন হওয়া উচিত প্রযুক্তিবিষয়ক সুরক্ষার অধীনে। ভাসানচরে শরণার্থীদের বসবাসের নিরাপত্তা, উপযোগিতা ও তা টেকসই কিনা তা নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চায় জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সুরক্ষা কাঠামো, সহযোগিতা এবং মূল ভূখন্ডে ফেরার উপযোগিতা যাচাই করে দেখতে চায় তারা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকার ভাসানচর প্রকল্প ঘোষণার সময় থেকেই এই স্থানান্তর পরিকল্পনা ভালভাবে বুঝতে গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে আসছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি, প্রক্রিয়া ও অপারেশনাল ইস্যু বিবেচনার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছে। (আমরা) এখনও এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু ২০১৭ সালের আগস্টে। ওই সময় মিয়ামনারের পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র একটি গ্রুপ পুলিশের আউটপোস্টে হামলা চালায়। এর পর রোহিঙ্গাদের ওপর শুরু হয় ধারাবাহিক আক্রমণ। এসব রোহিঙ্গার বেশির ভাগই মুসলিম। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো এবং জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ওই হামলাকে জাতি নিধনের উদ্দেশে বলে অভিহিত করেছেন। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ওই নৃশংস হামলার পর ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জীবনের মায়ায় পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। তাদের সঙ্গে পোশাক ছাড়া তেমন কিছুই ছিল না। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের এই ঢল নামার আগে থেকেই এখানে অবস্থান করছিলেন মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত আরো কমপক্ষে দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।

আরও খবর