প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জমিসহ নতুন ঘর পেলেন টেকনাফের মামুন!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জমিসহ একটি নতুন টিনসেড ঘর আদায় করে নিয়েছেন টেকনাফ হোয়াইক্যং কেরুনতলী এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোর মামুন।

৭ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন কিশোর মামুনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার খাসজমি বন্দোবস্তি করা জমির দলিল এবং ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক পরিবারের অসহায়ত্ব দূর করার জন্য একটি ইজিবাইক (টমটম) উপহার দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।

এসময় জেলা প্রশাসক’র সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিন আল পারভেজ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলি প্রমুখ।

জমির দলিলসহ নতুন ঘর পেয়ে কিশোর মামুন বলেন,
‘অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। লেখাপড়া বন্ধ হলেও ডিজিটাল বদৌলতে মোবাইল-ফেইসবুক চালিয়ে অনেক কিছুই শিখেছি।

সেই সূত্র ধরেই ঘরবাড়ি চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। এরপর ঐ ক্ষুদে বার্তার ম্যাসেজে সাড়া পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের খোজ খবর নেয়।

অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর (সোমবার)
আনুষ্টানিকভাবে জমিসহ নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক।

মামুন অভিমত প্রকাশ করে আরো বলেন অবিশ্বাস্যও হলে সত্য একটি ক্ষুদে বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরন করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আজিবন চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো। দোয়া করবো, আল্লাহপাক যেন প্রধানমন্ত্রীকে শত বছর বেঁচে থাকার হায়াত দান করে।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন-একটি ক্ষুদে বার্তাও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ টেকনাফের এই মামুন।

যার পাঠানো একটি বার্তায় মামুন’র জীবন পাল্টে দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় দেশের প্রধানন্ত্রীর তৃণমূলের খোজ খবর রাখেন এবং যত দূর সম্ভব হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ লাগব করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি বলেন, গৃহ-ভুমিহীন জনগোষ্ঠীদের আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতি মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় শত শত পরিবারকে ভুমি এবং নতুন গৃহ দিয়ে গৃহহীন মানুষকে পূর্নবাসন করা হচ্ছে।

এদিকে একই দিনের কর্মসুচিতে জেলা প্রশাসক মুজিব বর্ষে উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের ২৮টি ঘরে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন,সীমান্ত সড়ক, কর্মসৃজন প্রকল্প, মানসিক রোগী ও অসহায় মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরন করেন।#####

আরও খবর