দক্ষিণ মিঠাছড়িতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা


গত ২৭ নভেম্বর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক রুপসী গ্রাম ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত “রামুতে ডব্লিউএফপি’র ত্রাণের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদটির বিষয়ে উপকারভোগীদের দাবি, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ডব্লিউএফপি’র পক্ষ থেকে যেসব টাকা বিতরণ করা হয়েছে তা আমরা পেয়েছি। অথচ পত্রিকায় আমাদের ওই টাকা থেকে এক হাজার করে চেয়ারম্যানসহ তাঁর সহযোগিরা নিয়েছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এছাড়াও সংবাদে যে আমাদের নাম দিয়েছে তাও আমরা জানিনা।

এদিকে সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্যদিয়ে আমরা পুরো টাকা পায়নি বলে যে উল্লেখ করা হয় তা অত্যন্ত জঘণ্য বানোয়াট কথা। এই বিষয়ে ওই উপকারভোগীরা প্রতিবেদককে স্বাক্ষর করে লিখিত বিবৃতি ও ভিডিও বক্তব্য দেন।

পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভূট্টো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, হাস্যকর ও মানহানিকর। সামনে নিবার্চন আসছে তাই আমাকে ঠেকানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার নিবার্চনী প্রতিপক্ষরা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারলে যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নেবো। এছাড়াও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আমার জনপ্রিতা ও উন্নয়নের প্রতি ইষার্ন্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা এসব ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আমি ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এধরণের তথ্য বিহীন সংবাদ প্রচার করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি আমার এসব অপপ্রচারের মূল হোতা দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজাকার আলবদর মরহুম জাফর আলমের নাতি সাদ আল আলম চৌধুরী’র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসইবুক আইডি থেকেও এসব নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মরহুম জাফর আলম সরকারী তালিকাভুক্ত রাজাকার ছিলো।

উক্ত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ নিয়ে প্রশাসন, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারীরা হলো:
উপকারভোগীদের মধ্যে -দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ফকিরামুরা এলাকার নজির আহমদের ছেলে শামসুল আলম, ৭ নং ওয়ার্ডের উজির আলী ছেলে ছৈয়দ করিম, ৫ নং ওয়ার্ডের আবদুস ছোবহানের ছেলে কলিম উল্লাহ, পানেরছড়া এলাকার জহুরা খাতুন, নুরুচ্ছাফা, আমান উল্লাহ, লেদু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম, কাইম্যারঘোনা এলাকার দিলোয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম, ছায়েরা খাতুন, ৯ নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজের স্ত্রী রেজিয়া, কাইম্যার ঘোনা এলাকার আজিজুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা, ৭ নং ওয়ার্ডে ফকিরামুরা এলাকার মৃত ইছহাকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

 

আরও খবর