নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক বলেছেন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগে কোন গ্রুপিং নেই, আগামীতেও সভাপতি – সম্পাদক নামে কোন গ্রুপ থাকবে না। অছাত্র ও মাদকের সাথে জড়িত কেউ ছাত্রলীগের নেতা হবে না। জেলা ছাত্রলীগের একমাত্র উদ্দেশ্য, ছাত্র সমাজের কল্যাণের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করা। আমাদের লক্ষ্য দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সেবা পৌঁছে দেয়া।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার শহরের আছাদ কমপ্লেক্সস্ত কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয় পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।
সভাপতি-সম্পাদক একে অপরকে পরিপূরক দাবি করে বলেন, আমরা দু’জন ভিন্ন মায়ের গর্ভে জন্ম নিলেও রাজনৈতিক ময়দানে একই আত্না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের মাঝে সভাপতি-সম্পাদক বলে কোন গ্রুপিং থাকবে না। আমরা ছাত্র সমাজের ও দেশের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুজনই একিভূত হয়ে কাজ করব। এ জন্য জেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন-ওয়ার্ডসহ সকল কমিটিতে আপোষহীন ছাত্রলীগ কর্মীদের নেতৃত্ব আনা হবে।
তারা বলেন, আমাদের নতুন কমিটি আসার পর আনুষ্ঠানিক যাত্রায় ঘোষণা দিয়েছি সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপ থাকবে না। এরপরও কোথাও কোথাও দেখছি কেউ সভাপতির একক ছবি আবার কেউ সম্পাদকের একক ছবি দিয়ে ব্যানার-পেস্টুন লাগিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এটা আমাদের প্রথম দিনের ঘোষণার অবমাননা। আমাদের অনুরোধ কারো পক্ষের লোক হয়ে নয় ছাত্রলীগের কর্মী হয়েই মাঠে কাজ করুন। শুভেচ্ছা জানাতে মন চাইলে আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী, কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক ও আমাদের দুজনের ছবি একসাথে দিয়ে জানাতে পারেন। তবে,আমাদের ঘোষণার উল্টো করে কেউ আমাদের পথচলায় ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক আরো বলেন, আমরাও মানুষ। আমাদের যদি ভুল হয় আপনারা (সাংবাদিকরা ভাইয়েরা) সেই ভুল ধরিয়ে দিবেন।আমরা চেষ্টা করব নিজেদের সংশোধন করে দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবো।
জেলা ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত দু’নেতা সন্ধ্যায় কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি অফিসে আসলে সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সায়ীদ আলমগীর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সায়ীদ আলমগীর বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি অনেকে কমিটি নিয়ে বাণিজ্য করেছে, অছাত্র ও মাদকের সাথে জড়িত অনেকেই নেতা হয়েছে। আমরা দুজন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে সাদ্দাম-মারুফ পরিষদ থেকে আশা করব, অতীতের সেই অনৈতিকতার ধারা পরিবর্তিত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির সুসংগঠিত ছাত্রলীগ হবে কক্সবাজারে। সংগঠনের কী-পোস্টে না থেকেও জাতির ক্রান্তিলগ্নে, করোনাকালে সাদ্দাম-মারুফ যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে তার প্রতিদান তারা পেয়েছে। এখন দুজনপর সোনালী সময়। সামনের দিনে সুসংগঠিত ছাত্রলীগকর্মীদের নিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে আরো বেশি অবদান রাখতে হবে।
এসময় কক্সবাজার রিপোর্টাস ইউনিটির সহসভাপতি জাবেদ আবেদীন শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদ রুবেল, আবদুল্লাহ নয়ন, মোহাম্মদ শফিক, জসীম উদ্দীন, আমিনুল ইসলাম, নাজিম উদ্দীন, কাজী তামজিদ পাশা, তাহজীবুল আনাম ট্রপি, ওমর ফারুক জয়, নাঈমসহ সংগঠনের সদস্যগণ ও জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-