উখিয়ায় নারী এনজিওকর্মীর বাসা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আরেক এনজিও কর্মকর্তা জনতার হাতে ধরা

 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এনজিওকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে আসলেও প্রশাসনকে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখির পর উপজেলা প্রশাসন গত বছর সিকদারবিল গরুবাজারস্থ কয়েকটি ভবনে অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে তা থমকে যায়। যার ফলে এসব অবৈধ মেলামেশা আরো বৃদ্ধি পায়।

এদিকে শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালীস্থ এক নারী এনজিওকর্মীর বাসা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে-নাতে ধরা পড়ে সুশীলন নামক এনজিও’র এক কর্মকর্তা। তার নাম অনিরুদ্দা সরকার।
স্থানীয় লোকজন আপত্তিকর অবস্থায় ধরে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে আসলেও বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনিরুদ্দা সরকার বলেন, আমাকে রাতে এক নারী এনজিওকর্মীর বাসায় পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন লোক চেয়ারম্যানের কাছে ধরে নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে আজ ৯টায় আবারো বৈঠক রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

তবে সুশীলনের কয়েকজন সিনিয়র কর্তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গত রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে তদবির করে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনা ঠিক কিন্তু প্রমাণ নেই। কেউ অভিযোগ না করার কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমাদের হাতে আসেনি। আসলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর