দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করার অনুমতি পেয়েছে।

আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে শুক্রবার সকাল থেকে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালের দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি প্রদান করেছেন।

তবে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে শুধুমাত্র ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ নামে একটি জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজে অনুমতি চেয়েছে। এর আগে এমভি কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং এমভি ফারহান পর্যটকবাহী জাহাজকে গত ৪ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল এই অনুমতি পাওয়ার পরও কি কারণে এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল এতো দিন বন্ধ ছিল সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জায়নি।

কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক পর্যটকবাহী জাহাজে কর্মরত টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি, শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পায়। আমরা এখন থেকে প্রবালদ্বীপে বেড়াতে আসা ভ্রমনকারীদের কাছে টিকেট বিক্রি শুরু করেছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, প্রবাল দ্বীপে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক বরন করার জন্য দ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল,রেষ্টুরেন্ট ও কটেজগুলো কে নব রুপে সাজিয়ে রেখেছে। জাহাজ চলাচলের খবরটি দ্বীপে পৌছার সাথে সাথে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য।

১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম(সাইফ) জানান, জাহাজ চলাচলের অনুমতির বিষয়ে একটি নির্দেশনা হাতে পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার জন্য দায়িত্বে থাকা জাহাজ কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর