র‍্যাব দেখে কোটি টাকার বান্ডিল ছুড়ে ফেলে দেয় রোহিঙ্গা দম্পতি!

অনলাইন ডেস্ক • নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের একটি বাসা রবিবার বিকালে ঘিরে ফেলেন র‌্যাব সদস্যরা। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান শুরুর টের পেয়েই ভেতর থেকে লাখ টাকার অনেকগুলো বান্ডিল নিচে ফেলা শুরু হয়। তখন র‌্যাব সদস্যদের বুঝতে বাকি থাকে না কোন বাসায় অভিযান চালাতে এসেছেন। রাত পর্যন্ত ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গত রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও ইয়াবা এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের নাম শওকত ইসলাম ও তার স্ত্রী মোরজিনা। তাদের বাসা থেকে ১ কোটি ১৭ লাখ ১ হাজার ৫শ টাকা এবং ৫ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব ৭-এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট আলী আশরাফ তুষার বলেন, শওকত একজন শীর্ষ মাদক চোরাচালানি। তিনি মিয়ানমার ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য। তার স্ত্রী টাকা লেনদেনের বিষয়টি দেখেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা প্রায় এক বছর ধরে শওকতকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিলাম। কিন্তু তারা তিন-চার মাস পরপর বাসা পরিবর্তন করেন। সর্বশেষ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৭৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানো হয়। আমাদের অভিযানের সময় শওকত ও তার স্ত্রী টাকার বান্ডিল জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে আমরা সেগুলো উদ্ধার করি।

র‌্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শওকত জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তিনি সরাসরি চট্টগ্রাম শহরেই বসবাস শুরু করেন। মোরজিনা ২০১২ সালে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন। পরে তাদের বিয়ে হয়।

কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে শওকত ও মোরজিনা র‌্যাব সদস্যদের জানান, গত এক সপ্তাহে তারা তাদের কাছে মজুদ সব ইয়াবা বিক্রি করে দেন। তারা নগদ টাকা জমাচ্ছিলেন, কারণ এই মাসেই মিয়ানমার থেকে একটি বড় ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম শহরে আনার কথা ছিল।

রোহিঙ্গা দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর