ইয়াবার সাথে পাল্লা দিয়ে আসছে স্বর্ণের চালান: টেকনাফে বার সহ মুদি দোকানদার আটক

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •


পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার চালানের সাথে পাল্লাদিয়ে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করছে স্বর্ণের চালান।

এদিকে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচার প্রতিরোধ করার জন্য উখিয়া-টেকনাফে কর্মরত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক সাপ্তাহের ব্যবধানে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা মুল্যের বিপুল পরিমান স্বর্ণের বারসহ বেশ কয়েকজন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি।

টেকনাফ ২ বিজিবি সূত্রে জানাযায়, ৮ নভেম্বর(রবিবার) সকাল ৮টার দিকে হোয়াইক্যং বিজিবি চেক পোস্টে কর্মরত বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পেশাল সার্ভিস(পালকি পরিবহন) নামক যাত্রীবাহি একটি বাসে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা ৯৯ ভরি ১১ আনা ওজনের ৭টি স্বর্ণের বারসহ চট্রগ্রাম সাতকানিয়া আফজাল নগর এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহাম্মদ’র পুত্র বর্তমান টেকনাফ পৌরসভা লামার বাজারে বসবাসরত আব্দুল গনি (৪৬) নামে এক স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। উক্ত চেক পোস্টে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা গত ৩০ অক্টোবর ৫৬ ভরি স্বর্ণসহ আরো এক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১লা নভেম্বর (রবিবার) রাতে উখিয়া উপজেলা সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুম সীমান্তে বিওপিতে কর্মরত ৩৪ বিজিবির সদস্যরা গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী উখিয়া ফালংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে আসা ৪৭১ভরি ৯ আনা ৪ রতি ওজনের বিপুল পরিমান স্বর্ণসহ একজন রোহিঙ্গা স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ঐ স্বর্ণ গুলোর মুল্য ছিল ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।

এভাবে প্রতিনিয়ত পার্শ্ববর্তি দেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার চালানের পাশাপাশি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে স্বর্ণ চালানের সংখ্যা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়,মিয়ানমার থেকে পাচার নিয়ে আসা স্বর্ণ পাচারে যারা জড়িত তারা আবার মাদক পাচারে জড়িত। তবে এই অপকর্মে জড়িত বেশীর ভাগ অপরাধী হচ্ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা। তাদের সাথে যুক্ত হয়ে বৈধ ব্যবসার আড়ালে মাদক ও স্বর্ণ পাচার অব্যাহত রাখার জন্য সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে চট্রগ্রাম সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আমিরাবাদ এলাকার টেকনাফে বসবাসরত বৈধ ব্যবসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা মুখোশধারী চোরাকারবারীরা।

৭টি স্বর্ণের বারসহ আটক অপরাধীর সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান(পিএসসি) জানান, মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা ইয়াবা পাচারের পাশাপাশি মিয়ামারমার থেকে পাচার করে নিয়ে আসছে স্বর্ণের চালান। তবে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
স্বর্ণসহ আটক চোরাকারবারী আব্দুল গনির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।######

আরও খবর