এম.এ আজিজ রাসেল •
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বিকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, যুগ্ন সাধারণ রণজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক বাহাদুর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, সহ-সভাপতি যথাক্রমে আছিফুল মাওলা, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও ডা. পরিমল কান্তি দাশ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বরে জেল হত্যা এ দুই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই জিয়াউর রহমান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুহত্যার পর ক্ষমতা নিষ্কন্টক করা, পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, তবে অনেক আসামি পলাতক।
‘১৯৭৫ সালের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বক্তারা আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমদ তার একান্ত বিশ্বস্তজন বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরে নিজে ক্ষমতা দখলের পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকারী সবাইকে পুনর্বাসিত করেন জিয়া।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ অপরাধীদের মধ্যে যারা জীবিত আছে তাদের সবাইকে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করা। কারণ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সমস্ত অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। যেজন্যই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন, ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী অনেকের বিচার হয়েছে এবং অনেকের বিচার কার্যক্রম চলছে। পলাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করলেই ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের প্রতিকার হবে।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ উজ্জ্বল করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, সেলিম নেওয়াজ, আবু তাহের আজাদ, কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রফিক মাহমুদ, সাহাব উদ্দিন, মীর কাশেম, ইউনুছ বাবুল, আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, জানে আলম পুতু, জাফর আলম. জহিরুল কাদের ভুট্টো, নুর মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, এবি ছিদ্দিক খোকন, জিয়াবুল্লাহ চৌধুরী, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, আহমদ উল্লাহ, আবু আহমদ, বজল করিম, সেলিম ওয়াজেদ, খোরশেদ আলম রুবেল, মিজবাহ উদ্দিন কবির, আবদুল মজিদ সুমন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ফয়সাল হুদা, আমির উদ্দিন প্রমূখ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-