আবদুল্লাহ আল নোমান •
কক্সবাজারের উখিয়ার ব্যস্ততম কোটবাজার ভালুকিয়া টু সৈকত সড়কের অপরিকল্পিত সংস্কারের কারণে স্হানীয় জনসাধারণের চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার জনবহুল দুই ইউনিয়ন হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়ন ও পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির হাজার হাজার মানুষের ব্যস্ততম কোটবাজারের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কটি সংস্কারে পরিকল্পনার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সড়ক সংস্কারে সময় বিভিন্ন স্হানে বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা না রেখে রাস্তা কেটে ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করা হচ্ছে।
অথচ এই পথ দিয়ে প্রতিদিন রত্নাপালং, বড়বিল, ভালুকিয়া, খেওয়াছড়ি,আমতলী, পল্লানপাড়া, কোনারপাড়া, চাকমাপাড়া, থিমছড়ী, হারুন মার্কেট, মাতবর পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার চাকুরীজীবী, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে।
সামান্য বৃষ্টির পানি চলাচলে কাদা সৃষ্টি হয়। গাড়ি চলাচলে ও প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা হচ্ছে। রাস্তায় যত্রতত্র ইট, বালি, মাটি স্তুপ করে রাখার কারণে সামান্যতেই গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলেও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
স্হানীয় ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম জানান, ঠিকাদারের অপরিকল্পিত সংস্কারের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাঁদা হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের কোটবাজার দোকানে আসা যাওয়ায় কষ্টকর হয়ে যায়।
স্হানীয় এনজিওকর্মী ওয়াহিদ সোহেল জানান, প্রতিদিন চাকরীতে যাওয়া-আসায় রাস্তায় হাটা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তার উপর ব্রিজ-কালভার্ট এর জন্য রাস্তা কেটে ফেলায় গাড়িতে করেও চলাচল করা যাচ্ছেনা।
অনেকে তাই বিকল্প সড়ক হিসেবে গয়ালমারা-ঝাউতলা সড়ক ব্যবহার করছে। যেটিও সংস্কারধীন। তাই স্হানীয় অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরিকল্পিত সংস্কারে ঠিকাদারের সমালোচনা করে রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-