শাহেদ মিজান •
কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা এলাকা থেকে যতীন্দ্র নাথ দাস (৩৮) নামে ভুয়া এসিল্যান্ডকে আটক করেছে আইন-
শৃংখলা বাহিনী।
আটক ভুয়া এসিল্যান্ড যতীন্দ্র নাথ দাস বাগেরহাট জেলাধীন চিতলমারী থানার চরকুড়াল তলা এলাকার জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তাকে আটক করে প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, হােটেল সিগ্যালপাড়া মহল্লা থেকে বছর আগে উচ্ছেদ হওয়া সমাজের সভাপতি ও অন্যান্যরা পূণর্বাসনের বিষয় নিয়ে সদর এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করতে যায়।
সেখানে তার অফিসে রুমের ভিতরে কথা বলার সময় ধৃত আসামীও উপস্থিত ছিলেন দাবী করে মামলার বাদী মােঃ আলাউদ্দিন বলেন, সদর এসিল্যান্ডের রুমের ভিতরে কথা বলার সময় ধৃত আসামীও উপস্থিত ছিলেন। তারা এসিল্যান্ড অফিস থেকে বের হওয়ার পর উক্ত আসামীও বাইরে এসে জানায় তিনি রামুর এসিল্যান্ড। আটক প্রতারক সদর এসিল্যান্ড তার বন্ধু হয় এবং কথা বলার সময় সভাপতিকে একপাশে ডেকে নিয়ে পুনর্বাসন করার আশ্বাস দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। বিষয়টি সদর সহকারী ভূমি কমিশনারকে জানালে ধৃত আসামী উনার পরিচিত না বলে জানান।
ধৃত আসামী ২৯ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় উক্ত টাকা নিয়ে লাবনী পয়েন্টে দেখা করতে বলে। তার কথামত লাবনী পয়েন্টের আলিফ লাম মীম জামে মসজিদের পার্শ্বে তার সাথে দেখা করলে সে জানায় কাজটি করার জন্য ডিসি ও মেয়রকে বলে দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে বিধায় উক্ত টাকা দাবী করে। তার কাছে টাকা দেওয়ার সময় চাইলে টাকা না দিলে সুগন্ধা পয়েন্টে উচ্ছেদ মামলায় জড়াবে বলে হুমকি দেয়। পরে তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টায় তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার জন্য সুগন্ধা পয়েন্টের কড়াই রেষ্টুরেন্টের সামনে দেখা করেন। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে স্থানীয় লােকজনের সহায়তায় ধৃত করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রামু থানার এসিল্যান্ড বলে দাবী করে। এ বিষয়ে মো.আলা উদ্দিন বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে,যার নং-৭০।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই মানিক কুমার চৌধুরী মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-