এম,এস রানা উখিয়া •
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সংস্কার কাজ শেষ না হতেই মরণ যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে।
সড়কের উভয় পাশে সিএনজি টমটম সহ বিভিন্ন গাড়ি অবৈধ ভাবে পার্কিং করার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে এ সড়কে।
সম্প্রতি মায়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৫লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। এসব রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও সংস্থার হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াতের কারনে সড়কে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে । যার ফলে সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন হলে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে সংস্কার কাজ চলে আসলেও এলাকাবাসী সড়ক বড় করার সুফল পাচ্ছে না।
সড়কের উপর অবৈধ দোকান সিএনজি টমটমের যত্রতত্র পার্কিং করার কারণে প্রতিদিন উক্ত মহা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যেন কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যাতায়াতরত যাত্রীসাধারণ মরণ যন্ত্রণায় ভোগছে।ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল,মাদ্রাসা কলেজে যাতায়াত,এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে,মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে পৌঁছাতে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়। এছাড়াও অদক্ষ ও আনাড়ী চালকদের কারণে দিন দিন ভয়ংকর জীবনঘাতী দানব হয়ে উঠছে ব্যাটারী চালিত টমটম।
প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে টমটম নামক এই ব্যাটারী চালিত ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবনহানিসহ পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে নিরহ হাজারো পথচারী। কোটবাজারের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন সিএনজি ও টমটম গাড়ির প্রতিযোগীতা মূলক চলাচলের কারণে তাকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ৪ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে।
সড়ক,মহাসড়কে গাড়ি চলানোর অভিজ্ঞতার অভাব,অল্প শিক্ষিত ও আনাড়ী চালকদের কারনে প্রতিনিয়ত অহরহ টমটম দুর্ঘটনা ঘটে চলছে।
সরকার অবৈধ এ টমটম গাড়ীর মহা সড়কে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞাজারী করলেও থানা পুলিশকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে প্রানঘাতি অবৈধ টমটম। একদিকে দেশের বিদ্যুৎ খাতের বারোটা বাজাচ্ছে। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের অন্যতম কারন টমটম। অন্যদিকে সড়কে প্রানঘাতি দানব হয়ে নিরহ পথচারীদের চরম আতংকের কারন হিসেবে আবির্ভুত হয়ে উঠছে। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন ও শহর সমূহে তীব্র যানজটের প্রধান কারণ অবৈধ এ টমটম।
হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম (এম.এ) বলেন, দেশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত প্রশিক্ষন প্রাপ্ত চালকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলেও টমটম চালকদের তেমন কোন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেই যার কারনে অনেকে গাড়ি চালানোর নিয়াম কানুন জানে না। বলতে গেলে টমটম মালিক বা টমটম সংগঠন গুলো দক্ষতার কোন ধার ধারেনা।
টাকার লোভে অনভিজ্ঞ চালকদের হাতে তুলে দেয়ার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে আনাড়ী চালকরা। প্রশাসনের উচিত এখনই টমটম নামক ঘাতকযানের লাগাম টেনে ধরা, তা না হলে এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালেই ঝরে পড়বে অসংখ্য তাজা প্রাণ।
কোটবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিজন বড়ুয়া বলেন বাংলাদেশ সরকার সড়কের নিরাপত্তা,যানযট নিরসন ও জনগন চলাচলের সুবিধার্থে সড়কের দুইপাশ প্রসস্থ করারর পরও সি এন জি, টমটম যত্রতত্র এলোমেলো ভাবে রাখার ফলে সরকারের নেওয়া প্রদক্ষেপ, সারদিন পুলিশের শত চেষ্টা ও জনগনের আশার প্রতিফলন হচ্ছে না লেগেই থাকে যানযট।
কলেজ ছাত্র কামরুল ইসলাম বলেন , জীবন চলার তাগিতে সিএনজি ও টমটম গাড়ি আমাদের যাতায়তের জন্য প্রয়োজন হলেও অদক্ষ ও আনাড়ী চালকদের কারনে এই ত্রিচক্র যান টমটম এখন অভিশাপে পরিনত হয়েছে। প্রশাসনের উচিত সকল সিএনজি ও টমটম চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সংগঠন গুলোকে বাধ্য করতে হবে। তাহলেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা থেকে সাধারণ পথচারী কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-