অনলাইন ডেস্ক •
কক্সবাজার জেলার একতাবাজার থেকে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে প্রায় ২৭৪ কোটি টাকার কাজ চার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মোট সাতটি উন্নয়নকাজের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি সরকারি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি; জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রস্তাবনা ছিল।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, এসব উন্নয়নকাজে মোট ৪৭৪ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ৪০৬ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ টাকা এবং জাইকা ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৮৬ কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৬৫৪ টাকার যোগান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পে দুটি প্যাকেজের আওতায় ২৭৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স, জামিল ইকবাল, রানা ডিল্ডার্স ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স সড়কটির কাজ পেয়েছে। প্রথম দুই প্রতিষ্ঠান দুটি প্যাকেজেই ঠিকাদার হিসেবে আছে। তাদের সঙ্গে প্রথম প্যাকেজে রানা ডিল্ডার্স ও দ্বিতীয় প্যাকেজে হাসান টেকনো বিল্ডার্স রয়েছে।
প্রথম প্যাকেজের ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার ৮২০ টাকার পূর্ত কাজগুলো হল: ১ দশমিক ৯১০৮২৭৩ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, দশমিক ৪ কিমি বাঁক সরলীকরণ, ৬ দশমিক ৫৪ কিমি পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ ও প্রশস্তকরণ, ৫ দশমিক ৭৬ কিমি পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ, প্রশস্তকরণ ও উঁচুকরণ, দশমিক ৭০ কিমি রিজিভ পেভমেন্ট, আরসিসি বক্স কালভার্ট ৪টি, ইন্টারসেকশন ৩টি ও আরসিসি সসার ড্রেন নির্মাণ।
দ্বিতীয় প্যাকেজে ১৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৭ টাকার পূর্ত কাজগুলো হল: ১ দশমিক ৯২৯১৬২৫ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ৩ দশমিক ৫ কিমি নতুন পেভমেন্ট, দশমিক ৪ কিমি বাঁক সরলীকরণ, ৫ দশমিক ৪০ কিমি পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ ও প্রশস্তকরণ, দশমিক ৩০ কিমি রিজিভ পেভমেন্ট, আরসিসি বক্স কালভার্ট ৫টি, আরসিসি ড্রেনেজ সুইস গেট ২টি, ইন্টারসেকশন ১টি, আরসিসি সসার ড্রেন, সাইন-সিগন্যাল, গাইড পোস্ট, রোড মার্কিং নির্মাণ।
৮০ হাজার টন সার আমদানিতে সায়
ড. আবু সালেহ্ জানান, সভায় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) কাতারের মুনটাজাত প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার ৫৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) সৌদি আরবের বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন থেকে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশকে (বিসিআইসি) কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (২০১৮ সালে সংশোধিত)’ এর আওতায় রূপকল্প-৯:২ডি সাইসমিক প্রকল্পের ৭টি লটে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের এক্সপার্ট সার্ভিস গ্রহণে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৬ হাজার ৫ টাকা।
এছাড়া সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পে” নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন কোইকে বিদ্যমান চুক্তির সাথে ভেরিয়েশন বাবদ ১৩ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ৬৫৫ টাকা যুক্ত করে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-